চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

বিস্ময়কর! জন্ম-মৃত্যু সনদে একযুগ ধরে ক্যাজুয়াল স্টাফের সাক্ষর

নিজস্ব প্রতিবেদক

২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ | ৬:৪৬ অপরাহ্ণ

জন্ম ও মৃত্যু সনদে প্রায় এক যুগ ধরে স্বাক্ষর করেন না ইউনিয়ন পরিষদ সচিব। তার জায়গায় স্বাক্ষর করেন ইউনিয়ন পরিষদের ক্যাজুয়াল স্টাফ। পকেট থেকে টাকা বের হলেই মিলে সনদ। যদি তা ভুল তথ্যেও হয়, এক নামে ২ থেকে ৩টি জন্ম ও মৃত্যু সনদ তৈরি করা সম্ভব সেই ক্যাজুয়াল স্টাফের কাছে।

 

উল্লেখ্য, সরকারি সনদে কর্মচারী ব্যাতীত অন্য কেউ সাক্ষর করার ক্ষমতা না থাকলেও এক যুগ ধরে এমন অসাধ্য সাধন হয়েছে বাধাবিহীন।

 

চট্টগ্রামের হাটহাজারীর মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে দেখা যায় এমন চিত্র। মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এ অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রুহুল আমীন।

 

১৯৯৭ এবং ১৯৯০ সালে জন্মগ্রহণের আসল তথ্য গোপন করে সুমন নামের এক ব্যক্তি নিজেই ২টি জন্মনিবন্ধন তৈরি করায় অভিযানে তাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলে জানান ইউএনও রুহুল আমীন। ভবিষতে এমন অপরাধে আর না জড়াতেও নেয়া হয়েছে মুচলেকা।

 

 মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদে সচিবের পরিবর্তে জন্ম নিবন্ধন ও মৃত্যু সনদে এক যুগ ধরে সাক্ষর করে আসছেন বেলাল নামের এক ক্যাজুয়াল স্টাফ । সরেজমিনে যার সত্যতা পাওয়া যায় মন্তব্য করে ইউএনও রুহুল আমীন পূর্বকোণকে আরও বলেন, সরকারি সনদে বেলালের সাক্ষর করার ক্ষমতা না থাকলেও ইউপি সচিব কানু কুমার নাথের স্থানে এক যুগ ধরে সাক্ষর করেন তিনি। কোন এক ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশে এক যুগ যাবত এ ধরণের কাজ করছে বেলাল। তবে নিয়োগ পত্র দেখাতে না পারায় লোকমুখে তার এমন দাবি প্রশাসনের প্রশ্নের মুখে নিশব্দে রুপ নেয়।

 

ইউনিয়ন পরিষদ আইন-২০০৯ অনুযায়ী সরকারের পূর্বানুমতি ব্যতীত ইউনিয়ন পরিষদ অতিরিক্ত কর্মচারী নিয়োগ দিতে পারেন না মন্তব্য করে তিনি পূর্বকোণকে আরও বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ সচিবের স্থলে একজন বাইরের লোক কিভাবে স্বাক্ষর করে এ বিষয়ে সবাই বিস্ময় প্রকাশ করেন এবং ইউএনও আসার আগে এতদিন কেন টের পায় নাই সেটাও বিস্ময়কর! পরিষদের দায়ীদের শো কজ করা হয়েছে। বিষয়টা স্থানীয় সরকার বিভাগকে অবহিত করা হবে।

 

পূর্বকোণ/মামুন

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট