চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের অভিযান

আচরণবিধি লঙ্ঘন: প্রার্থীদের সতর্ক, সমর্থকদের জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৭ জানুয়ারি, ২০২১ | ১১:৫৭ অপরাহ্ণ

নগরীর আগ্রাবাদের সিডিএ আবাসিক এলাকায় অনুমোদন ব্যতীত আবাসিক এলাকায় কাছাকাছি দুইটি নির্বাচনী ক্যাম্প স্থাপন করায় তা ভেঙে দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। রবিবার (১৭ জানুয়ারি) চসিকের ২৭, ৩৭ ও ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে অভিযান চালিয়ে এসব ক্যাম্প ভেঙে দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুস সামাদ শিকদার। এ সময় কাউন্সিলরপ্রার্থীদের দলীয় পরিচয় সম্বলিত অবশিষ্ট পোস্টার ,ব্যানার সমূহ নিজ দায়িত্বে অপসারণ করে তা জব্দ করা হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে ১২ নম্বর সরাইপাড়া, ২৩ নম্বর পাঠানটুলি, ২৪ নম্বর উত্তর আগ্রাবাদ ও সংরক্ষিত ৯ নম্বর মহিলা কাউন্সিলর ওয়ার্ডে নির্বাচনী আচরণ বিধি প্রতিপালনে ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এ সময় অভিযানে সরাইপাড়া ওয়ার্ডের হালিশহর রোডের পানিরকল, বউবাজার এলাকায় কাউন্সিলর প্রার্থী মো. সাইফুল আলম (টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীক) এর পক্ষে মোটর যানবাহনে পোস্টার লাগিয়ে মাইকযোগে নির্বাচনী প্রচার কার্যক্রম করছিলেন। মোটর‍ যানবাহনে পোস্টার লাগানোর দায়ে সিটি কর্পোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর ৮(৮) ধারা ভঙ্গ করায় কাউন্সিলর প্রার্থীর কর্মী জালালউদ্দিন আকবরকে আর্থিক সামর্থ্য বিবেচনায় পাঁচশ’ টাকা জরিমানা করা হয়।

এর পাশাপাশি অনুমোদনবিহীন সাইজের পিভিসি ব্যানার দিয়ে আলোকসজ্জা করার সময় একজন কাউন্সিলরপ্রার্থীর কর্মীদের নিকট থেকে ব্যানার ও আলোকসজ্জার বাতি জব্দ করে বিনষ্ট করা হয়।পাশাপাশি সকল ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীদের পোস্টারে দলীয় মনোনীত শব্দ যাতে না থাকে সেজন্যে সতর্ক করা হয় ও যেগুলো টাঙানো আছে সরানোর নির্দেশনা দেয়া হয়।

সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস.এম আলমগীরের নেতৃত্বে নগরীর ১৪, ১৫ ও ২১ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডে (সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড-৫) সিটি কর্পোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ প্রতিপালনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এ সময় কাউন্সিলর প্রার্থীদের দলীয় পরিচয় সম্বলিত ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টার অপসারণ করা হয়। অবশিষ্ট দলীয় পরিচয় সম্বলিত ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টার দ্রুত সরিয়ে ফেলার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুকের নেতৃত্বে চসিক নির্বাচনে আচরণবিধি প্রতিপালনে ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৩৩, ৩৪ ও ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। অভিযানে দেখা যায় বেশিরভাগ কাউন্সিলরদের পোস্টার, ব্যনার ও লিফলেটে নিজেদের দলীয় প্রার্থী হিসেবে পরিচয় দিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন। কাউন্সিলরদের জন্যে এটি নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন হওয়ায় তাদের এ ধরনের পোস্টার, ব্যনার, লিফলেট সরিয়ে ফেলা হয়। একইসাথে গত ৩ দিন সকলের সাথে যোগাযোগ করে লিফলেট সরানোর নির্দেশনা দেয়া হয়। অন্যথায় পরবর্তীতে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে মর্মে সতর্ক করা হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানার নেতৃত্বে নগরীর ৭, ৮ ও সংরক্ষিত মহিলা আসন ৩ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচনী আচরণবিধির ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। অভিযানে নির্বাচনী আচরণবিধির সিটি কর্পোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ এর ৮(৮) ভঙ্গ করে ব্যানার ও পোস্টার লাগানোয় একজনকে এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন প্রার্থীদের টেলিফোনে আচরণবিধি প্রতিপালনে মৌখিকভাবে সতর্ক করা হয়।

সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল আলমের নেতৃত্বে নগরীর ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচনী আচরণবিধি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। অভিযানে সিটি কর্পোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ ভঙ্গের কোন ঘটনা ঘটেনি তাই কোন জরিমানা করা হয়নি। তাছাড়া স্থানীয় জনগনের সাথে কথা বলা জানা যায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গালিব চৌধুরীর নেতৃত্বে ২৮, ২৯ ও ৩৬ নম্বর ওয়ার্ড এবং ১১ নম্বর সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। এ সময় চসিক ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলরপ্রার্থী মো. সাজ্জাদ হোসেনের এক সমর্থককে সিটি কর্পোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ এর ৮(৫) ধারা লঙ্ঘন করে পোস্টারে কাউন্সিলর প্রার্থীর ছবির পাশাপাশি এক মেয়রপ্রার্থীর ছবি ব্যবহারের দায়ে ৩১(১) ধারায় পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় কয়েকজন প্রার্থীকে নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা মেনে প্রচারণা চালাতে সতর্ক করা হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুরাইয়া ইয়াসমিনের নেতৃত্বে নগরীর ২২, ৩০ ও ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে সিটি কর্পোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ ভঙ্গ করে ব্যানার ও পোস্টার লাগানোয় পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় সেগুলো নামিয়ে ফেলা হয় এবং প্রার্থীদের টেলিফোনে মৌখিকভাবে সতর্ক করা হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজওয়ানা আফরিনের নেতৃত্বে ৯, ১০ ও ১৩ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালিত হয়।

পূর্বকোণ/আরপি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট