চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

তিন বছর ধরে অনাবাদি প্রায় ৫০ একর জমি

দীঘিনালায় অকেজো স্লুইস গেট, ব্যাহত চাষাবাদ

জাহাঙ্গীর আলম রাজু

১২ জানুয়ারি, ২০২১ | ১১:৫৯ পূর্বাহ্ণ

খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় প্রয়োজনীয় সেচ সুবিধার অভাবে চাষাবাদ করতে পারছে না মেরুং ইউনিয়নের দুই শতাধিক কৃষক। উপজেলা সদর থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে মেরুং ছড়ার ওপর নির্মিত স্লুইস গেটটি অকেজো অবস্থায় থাকায় বিগত তিন বছর ধরে অনাবাদি থাকছে প্রায় ৫০ একর জমি। এ বছরও সেচ সুবিধা না থাকায় বোরো চাষাবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

স্লুইস গেটটি মেরামতের জন্য বহুবার দাবি জানানো হলেও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। এদিকে বছরের পর বছর ধরে চাষাবাদ করতে না পারায় বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। জমি থাকার পরও প্রয়োজনীয় সেচের অভাবে চাষাবাদ করতে না পারায় আর্থিক সংকটে পড়েছেন কৃষির ওপর নির্ভরশীল এই কৃষক পরিবারগুলো। তাই যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব স্লুইস গেটটি মেরামতের মাধ্যমে অনাবাদি জমিগুলো চাষাবাদের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন তারা।

সরেজমিনে দেখা যায়, মেরুং বাজারের দক্ষিণ পাশে মেরুং ছড়ার ওপর নির্মিত স্লুইস গেটটির জরাজীর্ণ অবস্থা। দীর্ঘ তিন বছর ধরে অকেজো অবস্থায় পরে রয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে নির্মিত এই স্লুইস গেটটি। যে কারণে স্লুইস গেটের আওতাধীন জমিগুলোতে প্রয়োজনীয় সেচ সুবিধা না থাকায় কোনো প্রকার চাষাবাদ করা সম্ভব হচ্ছে না। বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করে কোনোমতে চাষাবাদ করতে পারলেও বোরো মৌসুমে অনাবাদি অবস্থায় পড়ে থাকে একরের পর একর জমি।

এদিকে অনাবাদি জমিগুলোকে চাষাবাদের আওতায় আনার লক্ষ্যে স্লুইস গেটটি মেরামতের জন্য একাধিকবার দাবি জানানো হলেও অদ্যাবধি কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি বলে জানান স্থানীয় কৃষক মো. শামসুদ্দিন ও মহির উদ্দিন। তারা আরও জানান, জমি থাকার পরও চাষাবাদ করতে না পারায় এই এলাকার অধিকাংশ কৃষক পরিবার আর্থিক সংকটে সীমাহীন কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। তাই যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব স্লুইস গেটটি মেরামত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানান তারা।

মেরুং ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. হুমায়ূন কবির জানান, সেচ সুবিধার অভাবে এই এলাকার দুই শতাধিক কৃষক বিগত তিন বছর ধরে চাষাবাদ করতে পারছে না। চলতি বোরো মৌসুমেও তাদের চাষাবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তাই মেরুং ছড়ার ওপর নির্মিত স্লুইস গেটটি মেরামতসহ একটি রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ করে প্রয়োজনীয় সেচ সুবিধা নিশ্চিত করা হলে অনাবাদি জমিগুলো বোরোসহ সকল প্রকার চাষাবাদের আওতায় আসবে বলে জানান তিনি।

 

 

পূর্বকোণ/পি-আরপি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট