নোয়াখালী রুটের তিনটি স্টেশনের টিকিট বিক্রির ৯২ হাজার টাকার কোন হদিস পাচ্ছে না রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল। গত ২৯ ডিসেম্বর নোয়াখালী থেকে ঢাকাগামী নোয়াখালী এক্সপ্রেস ট্রেনের এসব টিকিট বিক্রি করা হয়। এ ঘটনায় ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ঢাকা-নোয়াখালী রুটের ৬টি স্টেশন রয়েছে।
এরমধ্যে মাইজদী, মাইজদী কোর্ট স্টেশন ও নাথেরপেটুয়া স্টেশনে টিকিট বিক্রির ৯২ হাজার টাকা পাওয়া যাচ্ছে না। গত ২৯ ডিসেম্বর নোয়াখালী থেকে ঢাকাগামী নোয়াখালী এক্সপ্রেস ট্রেনের এসব টিকিট বিক্রি করা হয়। ওইদিনই টিকিট বিক্রির টাকাগুলো সীলগালা করে সিন্দুকে ঢুকিয়ে তা লাকসাম স্টেশন মাস্টার বরাবর পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখান থেকে লাকসাম স্টেশন মাস্টার সিন্দুকটি গার্ড থেকে বুঝে নিয়ে ময়মনসিংহ থেকে আসা চট্টগ্রামগামী নাসিরাবাদ এক্সপ্রেস ট্রেনে তুলে দেন।
রেলওয়ে সূত্র থেকে জানা যায়, ট্রেনের দায়িত্বরত গার্ড চট্টগ্রাম পে এন্ড ক্যাশ অফিসে সিন্দুকটি বুঝিয়ে দিতে গেলে সিন্ধুকটির তালা ভাঙা দেখতে পান। সিন্দুকে ৯২ হাজার টাকা নেই। এ ঘটনায় ৩০ ডিসেম্বর চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে রেলওয়ে।
তদন্ত কমিটির প্রধান ও সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বলেন, ৬টি স্টেশনের মধ্যে তিনটি স্টেশনের টিকিট বিক্রির ৯২হাজার টাকা হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। এ ঘটনায় জড়িতের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে জানতে রেলওয়ের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মো. নাজমুল হোসেনের মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, এ কাজের সাথে যারা জড়িত বা যার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে তাকে টাকাগুলো ফেরত দিতে হবে।
পূর্বকোণ/পি-মামুন