বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সোবহান হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামি রাঙ্গুনিয়ার দুর্ধর্ষ আইয়ুব বাহিনীর সেকেন্ড-ইন-কমান্ড মোহাম্মদ বখতিয়ার ও এরশাদুর রহমানকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ মো. ইসমাইল হোসেনের আদালতে ১৪ বছর আগে মামলার রায়ে সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামি আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানিশেষে আদালত আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে গত রবিবার একই মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামি নজরুল ইসলাম ও আবুল হাশেমকে কারাগারে পাঠান একই আদালত।
২০০৬ সালের ৩০ নভেম্বর ১৭ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদ- দেন দায়রা আদালত। দ-াদেশপ্রাপ্ত ১৭ আসামির মধ্যে আইউবসহ ৯ জন রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করেন। ২০২০ সালের ২০ আগস্ট আসামিদের আপিল হাইকোর্ট খারিজ করে ৪ সপ্তাহের মধ্যে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণের আদেশ দেন। গত ২৩ ডিসেম্বর চার মাসের মেয়াদ শেষ হলে আদালতের অবকাশশেষে গত রবিবার দুই আসামি নজরুল ইসলাম ও আবুল হাশেম আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আইয়ুব বাহিনীর সেকেন্ড-ইন-কমান্ড বখতিয়ার ও এরশাদ গতকাল মঙ্গলবার আত্মসমর্পণ করলে আদালত এদেরও কারাগারে পাঠান। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা ৯ জনের মধ্যে ৬ জন বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
আদালত সূত্র জানায়, ১৯৯১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সোবহানের দুই ছেলে সবুর ও কবিরের দু’চোখ খেজুর কাঁটা দিয়ে উপড়ে ফেলে আইউব বাহিনীর দুর্ধর্র্ষ ক্যাডাররা। এরপর চোখের ফাঁকা জায়গায় এসিড ঢেলে দেয়। এ ঘটনায় দুই ভুক্তভোগীর পিতা মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সোবহান মামলা দায়ের করেন আইউব বাহিনীর বিরুদ্ধে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আসামিরা ১৯৯১ সালের ৩০ অক্টোবর আবদুস সোবহানকে অপহরণ করে খুন করে।
পূর্বকোণ/পি-মামুন