শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের ঘনিষ্ঠতার পরিচয় দিয়ে মাদক মামলার আসামিকে জামিন পাইয়ে দিতে দুই লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় হাতিয়ে নেয়া অর্থের ১ লাখ ৭০ হাজার টাকাও উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) নগরীর স্টেশন রোডে গোল্ডেন ইন হোটেলে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হল- শিহাব উদ্দিন সিদ্দিকী (২৬) ও গোল্ডেন ইন হোটেলের মার্কেটিং এন্ড সেলস ম্যানেজার মো. সোলায়মান (৪১)।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘মাদকসহ গ্রেপ্তার একজনকে জামিন পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে তার স্ত্রীর কাছ থেকে ২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন দু’জন। যারা নিজেকে উপমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন। এ সংক্রান্ত বিষয়ে থানায় মামলা দায়েরের পর অভিযান চালিয়ে এ দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি’।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১৭ নভেম্বর মাদকসহ ইফতিয়াজ সাঈদ নামে এক ব্যাংকারের স্বামী ঢাকার কমলাপুরে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন। ইফতিয়াজ তার স্ত্রী ব্যাংকার তাসলিমা সাখাওয়াতকে শিহাবের মোবাইল নম্বর দিয়ে তার সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। শিহাব নিজেকে উপমন্ত্রী মহোদয়ের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচয় দেন। উপমন্ত্রী ও র্যাবের সমঝোতায় ইফতিয়াজকে জামিনে মুক্ত করানোর আশ্বাস দেন শিহাব। পরবর্তীতে তাসলিমার কাছ থেকে ২ লাখ টাকা নেন। টাকা নেওয়ার পর থেকে শিহাব তাসলিমাকে এড়িয়ে চলতে শুরু করেন।
এভাবে প্রায় ১৫ দিন যাবার পর তাসলিমা তাগাদা দিতে থাকলে সে জানায়, উপমন্ত্রীর মাধ্যমে ম্যাজিস্ট্রেটকে রাজি করিয়ে জামিন নিয়ে দেবেন। এজন্য আরও ৬ লাখ টাকা দাবি করেন। তাসলিমা টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে শিহাব বিশ্বাস স্থাপনের জন্য তার কাছে উপমন্ত্রীর সঙ্গে হোয়াটস অ্যাপে ভিডিও কলে কথা বলার একটি ভুয়া স্ক্রিনশট পাঠান বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়।
ওসি মহসীন জানান, তাসলিমা বিষয়টি উপমন্ত্রীর পিএস রাহুল দাশকে জানালে তিনি (রাহুল) উপমন্ত্রীর নজরে দেন। শিহাব নামে কাউকে চেনেন না এবং তার সঙ্গে কখনো কথা হয়নি উপমন্ত্রী নিশ্চিত করলেও তাসলিমা রাহুল দাশকে নিয়ে থানায় গিয়ে মামলা করেন।
পূর্বকোণ/পি-আরপি