চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

লোহাগাড়ায় গুঁড়িয়ে দেওয়া হল চার অবৈধ ইটভাটা

লোহাগাড়া সংবাদদাতা

২১ ডিসেম্বর, ২০২০ | ৮:১৬ অপরাহ্ণ

হাইকোর্টের নির্দেশে চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় উচ্ছেদ করে গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো চারটি অবৈধ ইটভাটা। গুঁড়িয়ে দেয়া ইটভাটাগুলো হল- আমিরাবাদের বিএবি ব্রিকস, পশ্চিম কলাউজানের কেবিকে ব্রিকস, পিএসবি ব্রিকস ও চুনতি এলাকার সিবিএম ব্রিকস। 

আজ সোমবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর, পুলিশ, র‌্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব), ফায়ার সার্ভিস সমন্বিতভাবে উপজেলার পশ্চিম কলাউজান, চুনতি ও আমিরাবাদ এলাকায় অভিযান চালায় ।

অভিযানে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগরের পরিচালক মোহাম্মদ নূরুল্লাহ নূরী, র‌্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক মো. নূরুল আবছারসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা অংশ নেন। 

পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র এবং লাইসেন্স ছাড়াই চলছিল এসব ইটভাটা। অবৈধ এসব ইটভাটা গড়ে উঠেছিল কৃষিজমির ওপর। ইটভাটাগুলোতে কৃষিজমি ও পাহাড়ি জমি কেটে মাটি নিয়ে ইট তৈরি করা হত। আশেপাশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বসতঘর, মসজিদ ও মাদ্রাসা থাকায় এসব ইটভাটা পরিবেশের জন্য মারাত্বক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক।

পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মোহাম্মদ মোয়াজ্জম হোসাইন বলেন, লোহাগাড়া উপজেলা থেকে অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদে অভিযান শুরু করেছি আমরা। সোমবার (২১ ডিসেম্বর) মোট চারটি ইটভাটা উচ্ছেদ করা হয়েছে। লোহাগাড়া উপজেলায় অর্ধশতাধিক ইটভাটা রয়েছে। এসবের মধ্যে ৫-৬টি ইটভাটার বৈধতা রয়েছে। পর্যায়ক্রমে অবৈধ ইটভাটাগুলো আমরা উচ্ছেদ করব। উচ্ছেদ অভিযান পুরো চট্টগ্রামে চলবে।

চট্টগ্রামের সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ১৪ ডিসেম্বর বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ চট্টগ্রামের সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে সাত দিনের সময় দেন। আদালতের আদেশে একইসঙ্গে বৈধ ইটাভাটায় জ্বালানি হিসেবে কাঠের ব্যবহার ও কৃষিজমি বা পাহাড়ের মাটি কেটে ব্যবহারকারীদের তালিকাও দাখিল করতে বলা হয়েছে।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে ২৯ নভেম্বর রিট করা হয়। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল নওরোজ রাসেল চৌধুরী।

 

পূর্বকোণ/মামুন-মনির

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট