চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

কোম্পানি দিয়ে বাস চালাতে চান চট্টগ্রামের মালিকরাও

নাজিম মুহাম্মদ

১১ নভেম্বর, ২০২০ | ২:১৮ অপরাহ্ণ

গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরাতে ঢাকার মতো চট্টগ্রাম মহানগরীতেও কোম্পানির তত্ত্বাবধানে বাস পরিচালনা করতে চান মালিকেরা। নগরীর গণপরিবহনে নেই শৃঙ্খলা। মানা হচ্ছে না রুট পারমিটের নিয়ম। ইচ্ছে হলেই মাঝপথে ঘুরিয়ে দিচ্ছে গাড়ি। কার্যত সিন্ডিকেটে জিম্মি হয়ে আছেন পরিবহন মালিকরা। বাস-মিনিবাসের সাত সংগঠন থাকলেও তাদের মধ্যে নেই সমন্বয়। ফলে নগরীর ১৫ রুটে ১৫ হাজারের বেশি বাস ইচ্ছেমতো চলছে। এর বাইরে হিউম্যান হলার, ট্যাক্সি-টেম্পোতো রয়েছেই। চট্টগ্রাম মহানগরীতে গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরাতে কোনো উদ্যোগ কিংবা পরিকল্পনা রয়েছে কিনা জানতে চাইলে বাস মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ ও শ্রমিক নেতারা বলেন, তাদের নিজেদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। সমন্বয়হীনতা রয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনেরও।

জানতে চাইলে নগর পুলিশ কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর জানান, চট্টগ্রাম মহানগরীতে গণপরিবহনে শ্ঙ্খৃলা ফেরানো একটি বড় কাজ। বিশৃঙ্খল পরিবহন ব্যবস্থা যেখানে থেমে আছে আমরা সেখান থেকে শুরু করার উদ্যোগ হাতে নিয়েছি। প্রাথমিকভাবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে বৈঠকও হয়েছে। সামনে আরো একটি বৈঠক হবে। নগরীর গণপরিবহনে দৃশ্যমান শৃঙ্খলা দেখতে আরো কয়েকমাস অপেক্ষা করতে হবে। আমরা বেশকিছু পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি।

চট্টগ্রাম মহানগর বাস মালিক সমিতির সভাপতি এস এম তৈয়ব বলেন, গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরাতে নগরীতে বাস-মিনিবাসের সাতটি সংগঠন রয়েছে। তাদের নিজেদের মধ্যে সমন্বয় নেই। তবে বিআরটিএ এবং ট্রাফিক বিভাগ চাইলে শৃঙ্খলা ফেরানো সম্ভব। পরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরাতে একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা একটি কাজ শুরু করলে বদলি হবার পর তার স্থলাভিষিক্ত কর্মকর্তা পূর্বের কর্মকর্তার শুরু করা কাজের ধারাবাহিকতা রাখেন না। নতুন কর্মকর্তা নিজের মতো করে সবকিছু নতুন করে শুরু করেন। যেমন- নগর ট্রাফিকের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এস এম মোস্তাক আহমেদ বেশকিছু ভাল উদ্যোগ নিয়েছিলেন। ট্রাফিক ব্যবস্থা কিছুটা শৃঙ্খলায় ফিরেছিলো। তিনি বদলি হবার পর যিনি স্থলাভিষিক্ত হন তিনি পূর্বের কাজগুলোর ধারাবাহিকতা রক্ষা করেননি। ফলে সবকিছু আগের মতোই জগাখিচুড়ি হয়ে গেছে।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব বেলায়েত হোসেন বলেন, ঢাকায় গতকাল মঙ্গলবার ৪২ রুটে ২২ কোম্পানির তত্ত্বাবধানে বাস পরিচালনার একটি উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সেটি বাস্তবায়িত হলে নিঃসন্দেহে গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরবে। এ ধরনের উদ্যোগ চট্টগ্রাম মহানগরীতে নেয়া খুব একটা কঠিন কাজ নয়। এ ধরনের বিষয়ে প্রশাসনের সাথে কথাও হয়েছে। সিটি কর্পোরেশন, সংশ্লিষ্ট প্রশাসন, মালিক, শ্রমিক বৈঠক করে নির্দিষ্ট একটি নীতিমালা করলে পরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরানো সম্ভব।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট