ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রির দায়ে ৯ প্রতিষ্ঠানকে ৯৪ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিদপ্তর। নগরীর কোতয়ালী ও ডবলমুরিং থানা এলাকায় সকাল ১০টা হতে পরিচালিত অভিযানে এই জরিমানা করা হয়েছে। অভিযানে মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ ঘষামাজা করা পণ্য, নকল চেরি, মেয়াদ উত্তীর্ণ কোমল পানীয় ও অননুমোদিত রং ধ্বংস করা হয়।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয় এর উপপরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ্, সহকারী পরিচালক (মেট্রো) পাপীয়া সুলতানা লীজা এবং চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান অভিযান পরিচালনা করেন।
কোতোয়ালি থানার আন্দরকিল্লার জগন্নাথ মিষ্টি ভান্ডারকে লেবেল বিহীন কেক, চানাচুর, বিস্কুট, দই ইত্যাদি খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণ করায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় ডবলমুরিং থানার সিডিএ কর্ণফুলী মার্কেটের মিরসরাই ট্রেডার্স ৩ হাজার টাকা, বাগদাদ স্টোরকে ৩ হাজার টাকা ইমন ট্রেডার্সকে ৩ হাজার টাকা, জাকির হোসেনর সবজির দোকানকে ৩ হাজার টাকা , খাজা গরীবে নেওয়াজ স্টোরকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই এলাকার খায়রুল সওদাগরের দোকানকে অননুমোদিত রং রাখায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে বর্নিত রং ধ্বংস করা হয়।
বাদামতলী মোড়ের সিঙ্গাপুর ব্যাংকক মার্কেটের পৌষি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরকে অননুমোদিত রং, মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য, নকল চেরি রাখায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে বর্ণিত পণ্য ধ্বংস করা হয়। আরিফ ডিপার্টমেন্টাল স্টোরকে মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়া বিপুল পরিমাণ খাদ্যপণ্যের মেয়াদ ঘষামাজা করে ও স্ট্রিকার দিয়ে ঢেকে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে সংরক্ষণ করায় এবং উৎপাদন-মেয়াদ বিহীন পণ্য রাখায় ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করে বর্ণিত পণ্য ধ্বংস করে দেয়া হয়।
জনস্বার্থে এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে জানান সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান।