আনিছুল ইসলাম সুমন । বাড়ী চন্দনাইশ উপজেলার দীঘির পাড় এলাকায়। চাকরি করতেন নগরীর নিউ মার্কেটের ‘আইটি পার্ক নামক দোকানে। করােনাভাইরাসের কারণে লকডাউন শুরু হলে বেকার হয়ে শুরু করেন চুরি। তার সাথে যোগ দেয় ফারুক । ফারুক সাতকানিয়া উপজেলার খাগরিয়া এলাকায় চায়ের দোকানে কাজ করলেও লকডাউনে বেকার হয়ে সুমনের কাছে আসে একটা চাকরির জন্য। পরে দুজনে মিলে শুরু করেন নগরীর বাসা বাড়ীতে চুরি । গত ২৯ আগস্ট সকালে দুজনে মোটরসাইকেলে করে চান্দগাঁও আবাসিক বি-ব্লকের ১ নম্বর রােডের একটি বাড়ীতে যায় চুরি করতে।
ফারুককে নিচে পাহাড়ায় রেখে দ্রুত বাসাটি চুরি করে সুমন । সেদিন ফারুককে ১৫ হাজার টাকা চুরির ভাগ দিলেও পরেরবার চুরি করতে গেলে নেমে আসে বিপদ ।
গতকাল বুধবার ( ২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার সময় চান্দগাঁও আবাসিকের শ্যামলী ভবনের ৫ম তলার একটি বাসাতে দুজনে পুনরায় চুরি করতে যায় দুজন। দ্বিতীয়বার চুরি করতে গিয়ে এবার জনতার হাতে ধরা পড়ে। পরে স্থানীয়রা তাদের পুলিশের নিকট হস্তান্তর করে।
চান্দগাঁও থানার এসআই সজল কান্তি দাশ জানান, আজ বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) গ্রেপ্তারকৃত সমুন ও ফারুক দুজনে ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকার করে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সালেহ মোহাম্মদ নোমান ও খাইরুল আমীনের নিকট জবানবন্ধি দিয়েছে। তারপর বিচারক দুজনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে তাদের বিরুদ্ধে থানায় দুটি চুরির মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগীরা।
পূর্বকোণ / আরআর