চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

অমিত মুহুরী হত্যা রিপনের বক্তব্য নিয়েছে কারাগার তদন্ত কমিটি

নিজস্ব প্রতিবেদক

২ জুন, ২০১৯ | ২:৪৬ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী অমিত মুহুরী খুনের ঘটনা তদন্তে কারা কর্তৃপক্ষের গঠিত কমিটি কাজ শুরু করেছে। গতকাল শনিবার কমিটির সদস্যরা কারাগারে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং অমিত হত্যা মামলার আসামি রিপন নাথের বক্তব্য নিয়েছেন। তদন্ত কমিটির সদস্য

কারা অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি, প্রিজন) ফজলুল হক বলেন, “রিপন নাথের বক্তব্য আমরা নিয়েছি। তবে সে খুবই কম কথা বলে। খুন করার কথা সে স্বীকার করেছে। হত্যাকা-ের আগে তার সঙ্গে অমিতের কথা কাটাকাটি হয়েছে বলে জানিয়েছে। তবে বড় ধরনের কোনো ঝগড়া বা মারামারির কথা সে আমাদের বলেননি। কথা কাটাকাটি কেন হয়েছে জানতে চাইলে রিপন বলেছে, ‘আমার মাথা ঠিক ছিল না।’ কারা অধিদপ্তরের গঠিত তিন সদস্যের কমিটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল মো. আবরার হোসেন। কমিটিতে নোয়াখালী কারাগারের জ্যেষ্ঠ তত্ত্বাবধায়ক মনির হোসেনও আছেন।
ডিআইজি-প্রিজন ফজলুল হক জানান, গতকাল দুপুর ১২টার দিকে তারা কারাগারে যান। বিকেল ৪টার দিকে তারা কারাগার থেকে বের হন। আসামি রিপন নাথের পাশাপাশি তারা জেল সুপার, জেলার ও সংশ্লিষ্ট সেলের কারারক্ষীদের সঙ্গেও কথা বলেছেন। তিনি আরও জানান, আসামি রিপন নাথ ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে অমিতকে খুন করার কথা স্বীকার করেছে। ইট কোথায় পেয়েছে, সেটা বলেছে কি না জানতে চাইলে ফজলুল হক বলেন, ‘বিষয়টি এখনও আসেনি। রিপনের সঙ্গে আরও কথা বলতে হবে। সময় আছে। আমরা আবারও কারাগারে যাব।’
গত ২৯ মে রাত ১১টার দিকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে অমিতকে গুরুতর জখম অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। রাত ১টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন দায়িত্বরত চিকিৎসক। অমিত মুহুরী নিহতের ঘটনায় পরদিন নগরীর কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার নাশির আহমেদ। মামলায় অমিত যে কক্ষে আহত হয়েছেন অর্থাৎ ৩২ নম্বর সেলের ৬ নম্বর কক্ষের আরেক কয়েদি রিপন নাথকে (২৭) আসামি করা হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। মামলায় কারা কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, রিপনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি ও মারামারির জেরে অমিতকে মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয়েছে। তবে পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা কারাগারে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেছেন, ঘুমন্ত অবস্থায় অমিতকে মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। নগরীর নন্দনকাননে বন্ধুকে নৃশংসভাবে খুনের পর ড্রামে ভরে এসিড দিয়ে লাশ গলিয়ে দিঘিতে ফেলার মামলায় ২০১৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর ‘ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী’ অমিত মুহুরীকে (৩২) গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট