বুধবার সকাল থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে ‘চার মাত্রার সতর্কতা’ জারি করা হয়েছে জানিয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন) জাফর আলম বলেন, বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম বন্ধ আছে, জেটি থেকে সব জাহাজ নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। যন্ত্রপাতিও সরিয়ে নেওয়া হয়েছে যাতে কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে।
মূলতঃ মঙ্গলবার (১৯ মে) সকালের জোয়ারের পর থেকেই চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজশূন্য করা হয়। জেটি থেকে এখন পর্যন্ত ৯টি এবং বহির্নোঙ্গর থেকে ৬৭টি জাহাজ সরিয়ে সেন্টমার্টিন উপকূলে পাঠানো হয়। এছাড়া প্রায় ৫০০ লাইটারেজ জাহাজকে কর্ণফুলী নদীতে শাহ আমানত সেতুর দক্ষিণ প্রান্তে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, আজ বুধবার সকাল থেকে চট্টগ্রাম ও এর আশেপাশের এলাকার আকাশ আংশিক মেঘলা, থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে, সঙ্গে বইছে হালকা বাতাস।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন মহানগরী ও বিভিন্ন উপজেলার উপকূলীয় নিচু এলাকার বাসিন্দাদের সরিয়ে নিতে কাজ শুরু করেছে। স্থানীয়ভাবে মাইকিং করাসহ বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলা হচ্ছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দেলোয়ার হোসেন জানান, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে উপকূলীয় এলাকায় সকল আশ্রয়কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে। কিছু লোক সরিয়ে আনা হয়েছে। অনেকেই নিজের বাড়িঘর থেকে সরতে চান না। তারপরও প্রশাসনের চেষ্টায় অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্রে এসেছেন।
চট্টগ্রামের উপকূলবর্তী ছয়টি উপজেলা সন্দ্বীপ, মিরসরাই, সীতাকুণ্ড, আনোয়ারা, বাঁশখালী ও কর্ণফুলীকে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় এসব এলাকার বাসিন্দাদেরও সরিয়ে নেওয়ার ওপর জোর দিচ্ছেন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তারা।
প্রসঙ্গতঃ চট্টগ্রামে আশ্রয়কেন্দ্রসহ স্কুল-কলেজের পাকা স্থাপনা মিলিয়ে চার হাজারের মত স্থাপনা খুলে রাখা হয়েছে উপকূলবাসীর জন্য। এছাড়া লোকজনকে সরে আসার আহ্বান জানিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং চলছে।
পূর্বকোণ/ এস