চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪

আহত ৫, আতঙ্কে স্ট্রোক করে একজনের মৃত্যু

বান্দরবানে দোকানে ঢুকে আ. লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা

নিজস্ব সংবাদদাতা হ বান্দরবান

২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ | ৫:৩৬ পূর্বাহ্ণ

বান্দরবান সদর উপজেলার রাজবিলা ইউনিয়নে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের গুলিতে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বাচনু মারমা (৫৫) নিহত হয়েছেন। এঘটনায় সাবেক ইউপি মেম্বার ও যুবলীগের নেতাসহ আহত হয়েছে আরো ৫ জন। নিহতের বাড়ি জামছড়ি ভিতর পাড়ায়। তিনি ওই এলাকার মংবই মারমার ছেলে।

অন্যদিকে এঘটনার পর আতঙ্কে স্ট্রোক করে বাতখই মারমা (৬৩) নামের এক কৃষক মারা গেছেন। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে জামছড়ি ভিতর পাড়ার বাজারে ঘটনা ঘটে। সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা বাজারের দোকানে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি করে। এদিকে ঘটনার পর জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে সেখানে সেনাবাহিনী ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আতঙ্কে পাড়ার অধিকাংশ লোকজন পালিয়ে যায়। এছাড়া ওই এলাকার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরাও আতঙ্কে পলাতক রয়েছে। ঘটনায় যারা আহত হয়েছেন তারা হলেন, সাবেক মেম্বার উচ থোয়াই (৬৫), যুবলীগ নেতা মংক্যা চিং মারমা (২৫), যুবলীগ নেতা হ্লামং চিং (৩০) কৃষক ক্যাপোমং মারমা (৪৫) ও প্রতিবন্ধী আদাসে মারমা (২৬)। তাদের উদ্ধার করে সেনাবাহিনী সদর হাসপাতালে পাঠায়। তবে আহতদের মধ্যে গুরুতর ৩ জনকে সদর হাসপাতাল থেকে সেনাবাহিনীর সম্বলিত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ ঘটনার জন্য জনসংহতি সমিতিকে দায়ী করে রাতে শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি একেএম জাহাঙ্গীর ও সাধারণ সম্পাদক ইসলাম বেবিসহ নেতাকর্মীরা ঘটনার পর এলাকা পরিদর্শনে যান। তারা জানিয়েছেন জনসংহতি সমিতির সন্ত্রাসীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তবে জনসংহতি সমিতির পক্ষ থেকে এখনো কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। পুলিশ ও ¯’ানীয়রা জানায়, অস্ত্রসহ ১০ থেকে ১২ জনের একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী রাজবিলার জামছড়ি ভিতর মুখ পাড়ার বেশ কয়েকটি দোকানে এসে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এসময় ঘটনা¯’লেই বাচনু মারা যান। আহত হয় আরো ৫জন। এঘটনায় স্ট্রোক করে মারা যান আরো একজন।
পুলিশ সুপার জেরিন আখতার জানিয়েছেন সন্ত্রাসীরা কারা তা শনাক্ত করা যায়নি তবে কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে এবং এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

বান্দরবানে দীর্ঘদিন থেকে জনসংহতি সমিতির সাথে আওয়ামী লীগের দ্বন্দ্ব চলে আসছে। গত এক বছরে মগ পার্টি ও জনসংহতি সমিতির মধ্যে আধিপত্যের দ্বন্দ্বের ১০ জন নেতা কর্মী সমর্থক নিহত হয়েছেন।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট