চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

কর্ণফুলীসহ ৫টি নদীর মাস্টারপ্ল্যান চূড়ান্ত

বন্দরে নৌ প্রতিমন্ত্রী --- দু-এক দিনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন , বন্দরে চেইন অব কমান্ড বজায় রাখতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

২১ মে, ২০১৯ | ৩:০৩ পূর্বাহ্ণ

নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালেদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, কর্ণফুলী, বালু, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বুড়িগঙ্গাসহ ৫টি নদ-নদী নিয়ে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করা হয়েছে। দু-এক দিনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী মাস্টারপ্ল্যান অনুমোদন দেবেন।
গতকাল সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দরের সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।
কর্ণফুলীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ বিষয়ে তিনি বলেন, শিগগির এসব নদী দখলমুক্ত করা হবে। কর্ণফুলীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে ভূমি মন্ত্রণালয়ে টাকা চাওয়া হয়েছিল, ভূমি মন্ত্রণালয় টাকা দিয়েছে। নদী এক দিনে দখল হয়নি। একশ বছর ধরে দখল হচ্ছে। নদীর পাড়ে বিদ্যুৎ প্ল্যান্টও বসেছে। সেগুলো সরিয়ে নেওয়া হবে।
নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি হচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর। প্রধানমন্ত্রী এই বন্দরের গতিশীলতার জন্য অনেক পরিকল্পনা নিয়েছেন। এগুলো বাস্তবায়নে বন্দর সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
বন্দরে চেইন অব কমান্ড থাকতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সিবিএ নেতারা সব অনুষ্ঠানে থাকতে হবে না। সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক থাকবেন। বন্দরের কর্মীরা আমাদের সম্পদ। বন্দর চেয়ারম্যান আপনাদের যৌক্তিক দাবি পূরণে সচেষ্ট থাকবেন।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ২০৪১ সালে উন্নত দেশ এগিয়ে নেওয়ার জন্য সরকার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। সেই লক্ষ্যে সবাইকে কাজ করতে হবে। চট্টগ্রাম বন্দর ভালোভাবে চলছে। ভাবনার কিছু নেই।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু গণতন্ত্রের পূজারী ছিলেন। তিনি গণতন্ত্রকে ধারণ করতেন। তার উদারতার সুযোগ নিয়ে লেবাসধারীরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু চট্টগ্রামের ভাটিয়ারির প্যারেডে অনাচার ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু ‘৭৫ সালের পরবর্তীতে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতে চেয়েছিল লেবাসধারীরা। ১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত অর্থমন্ত্রী ছিলেন শাহ এস এম কিবরিয়া, তাকে হত্যা করা হয়েছে। চট্টগ্রামে গোপাল কৃষ্ণ মুহুরীকে হত্যা করা হয়েছিল, বাঁশখালী হত্যাকা- হয়েছিল। সিরিজ বোমা হামলা হয়েছে, মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করার জন্য।
নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নকে সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বে টার্মিনালের কার্যক্রম থেমে নেই। যদিও দৃশ্যমান হয়নি এখনো। ১৩২ বছরের পথচলা বন্দরের। আমরা বিশ্বের বন্দরগুলোর মধ্যে শীর্ষ অবস্থানে দেখতে চাই। এটি প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্য।
এসময় হুইপ সামশুল হক চৌধুরী, বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল জুলফিকার আজিজসহ বন্দরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভাশেষে তিনি বন্দরের সিসিটি, এনসিটি, পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল, বে টার্মিনালসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলো পরিদর্শন করেন।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট