চট্টগ্রাম বুধবার, ০১ মে, ২০২৪

খুনি আর পিস্তলের খোঁজে হন্যে পুলিশ

নাজিম মুহাম্মদ

১৫ জানুয়ারি, ২০২১ | ১:১০ অপরাহ্ণ

নগরীর আগ্রাবাদ পাঠানটুলিতে দুই কাউন্সিলর অনুসারীর মধ্যে গোলাগুলিতে নিহত আজগর আলি বাবুল কার গুলিতে নিহত হয়েছেন, সেই তদন্তে হন্যে হয়ে ঘুরছে পুলিশ।

 

হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত পিস্তলের খোসা উদ্ধার করতে পারলেও পিস্তলের হদিস মেলেনি দুদিন পরও। অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার পরই হত্যাকারিরা ঘটনাস্থলে থাকা দুটি ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা ভেঙ্গে চুরমার করে। পাশপাশি ডিবিআরও (ডিজিটাল ভিডিও রেকর্ডার) নিয়ে যায়। ১২ জানুয়ারি সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত গণসংযোগ মিছিলের সামনে অগ্রভাগে ছিলেন নজরুল ইসলাম বাহাদুর। মিছিলের একদম পেছনে ছিলো আজগর আলি বাবুল, মোস্তফা কামাল টিপু, মাহাবুবসহ অন্যরা। আনুমানিক সাতটার সময় মগপুকুর পশ্চিম পাড় জব্বার সওদাগরের বিল্ডিংয়ের সামনে পৌঁছালে পেছন দিক থেকে কে বা কারা গুলি করে। সেই গুলি লাগে বাবুলের পিঠের বামপাশে।

হত্যার বদলায় হত্যা নয়তো? 

গত ১২ নভেম্বর রাত আনুমানিক পৌনে এগারোটায় হোটেল আগ্রাবাদের দক্ষিণ পাশে জাফরের বিরানির দোকানের সামনে ধারালো বস্তুুর আঘাতে আহত করা হয় যুবলীগ কর্মী জাহাঙ্গীর আলম মিন্টুকে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন (১৩ নভেম্বর) মিন্টু নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যায়। কাদেরের অনুসারি আলাউদ্দিন আলোর ছোট ভাই হল মিন্টু।

 

ঘটনার চারদিনের মাথায় মিন্টু হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে মোস্তফা কামাল টিপুর অনুসারি কমার্স কলেজে রোডের রমজান আলী নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মিন্টু হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামী করা হয়েছিল মোস্তফা কামাল টিপু ও মঙ্গলবারের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ মাহবুবকে।

 

বাহাদুরের গণসংযোগে থাকা একাধিক ব্যক্তি জানান, গায়ে গুলি লাগার বিষয়টি আজগর প্রথমে বুঝতে পারেনি। গোলাগুলির সময় টিপুকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়ার পর ছেলে সেজানকে নিয়ে কয়েক কদম হেঁটে যাবার পর আজগর অনুভব করে তার পেছনে ঠান্ডা কিছু লাগছে। হাত দিয়ে রক্ত দেখার পর গুলি লাগার বিয়ষটি জানাজানি হয়। আজগর হত্যার অভিযুক্ত থাকার অপরাধে আবদুল ওয়াদুদ রিপনকে গ্রেপ্তার করা হলেও ঘটনার পর থেকে আত্মগোপনে রয়েছে ডবলমুরিং থানার কাপুড়িয়া পাড়া চেয়ারম্যান বাড়ির আলাউদ্দিন আলো ওরফে পিচ্চি আলো ও মোহাম্মদ আলমগীর প্রকাশ বদনাচোর আলমগীর। আত্মগোপনে যাওয়ায় সন্দেহের তীর এখন এই পিচ্চি আলোর উপর পড়েছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নগর গোয়েন্দা পুলিশের বন্দর জোনের পরিদর্শক শাহাদাত খান জানান, ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার কিংবা কার গুলিতে আজগর মারা গেছে তা এখনো জানা যায়নি।

হত্যাকান্ডের ঘটনায় আজগর আলির ছেলে সেজান মাহমুদ বাদি হয়ে ওইদিন রাতেই ডবলমুরিং থানায় একটি মামলা দায়ের করে। এতে ১৩জনকে এজাহারভুক্ত আসামি করেছে।

পরিদর্শক শাহাদাত বলেন, ঘটনার রাতে ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনদিন করে রিমান্ড দিয়েছে আদালত। এদের মধ্যে আবদুল রহমান ও দিদারকে রিমান্ডে আনা হেেছ। আজ অথবা আগামীকাল বাকি ১১জনকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এরপরই হত্যাকারী সংক্রান্তে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যেতে পারে।

 

পূর্বকোণ/পি-মামুন

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট