চট্টগ্রাম শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ:

ছাত্রশিবির ও ছাত্রদলের প্রতিবাদ

দুর্বৃত্তদের হামলা: প্রধান ফটক বন্ধ করে অবস্থান কর্মসূচি

চবি সংবাদদাতা

১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ১০:০০ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শিক্ষার্থীদের ওপর গভীর রাতে দুর্বৃত্তদের হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা।

 

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক অবরোধ করে এই বিক্ষোভ করেন। প্রশাসনের আশ্বাসে ৮টায় গেট খুলে দেওয়া হয়।

 

শিক্ষার্থীদের দাবি, ৫ আগস্টের পর থেকে একাধিক গুপ্ত হামলার ঘটনা ঘটলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি। বরং বিভিন্ন ইস্যুর দোহাই দিয়ে ঘটনাগুলো ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।

 

জানা যায়, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ক্যাম্পাসের পরিবহন দপ্তরের কাছে দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হন দুই শিক্ষার্থী আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের মহিবুল ইসলাম মহিব ও নিরব আহমেদ। তারা বারবিকিউ পার্টি শেষে বন্ধুদের সঙ্গে ক্যাম্পাসে ফিরছিলেন। এ সময় ৫-৬ জন মুখোশধারী দুর্বৃত্ত তাদের পথরোধ করে হামলা চালায়। হামলার পর আহতদের উদ্ধার করে চবি মেডিক্যাল সেন্টারে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

 

এদিকে হামলার ঘটনায় দুপুরে প্রতিবাদি মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা। সেখানে বক্তব্য দেন শাখা ছাত্রশিবিরের চবি শাখার অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ আলি ওবায়দুল্লাহ। তিনি বলেন, যারা নবীন শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানোর ধৃষ্টতা দেখিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি। এ ছাড়া নিরাপত্তা দপ্তরের সামনে হামলা হয়েছে। যেখানে সবসময় প্রহরীরা থাকে। দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়ে পালিয়ে গেছে কিন্তু প্রহরীরা তাদের ধরতে পারেনি। এটি লজ্জাজনক। আমরা প্রশাসনের কাছে দ্রুত অপরাধীদের বিচার দাবি করছি।

 

সন্ধ্যায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সম্মতি জানিয়ে অবস্থান নেয় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল চবি শাখার নেতাকর্মীরা। এসময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরের সাথে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের কথা-কাটাকাটি হয়। ছাত্রদল নেতা জালাল সিদ্দিকী জানান, শিক্ষার্থীদের দাবিতে সংহতি জানিয়ে আমরা অবস্থান নেই। এসময় প্রক্টর মহোদয় ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে আমাদের সাথে কথা বলেন। কিন্তু উনি আমাদের হুমকি-ধমকি দেওয়া শুরু করেন এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনকে ষড়যন্ত্র হিসেবে আখ্যা দেন। এটি একটি দায়িত্বজ্ঞানহীন কর্মকাণ্ড। উনার এমন বক্তব্যে আমরা তীব্র নিন্দা জানাই।

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি জানান, দায়িত্ব নেওয়ার পরে আমাদের অনেক ভালো কাজের মধ্যে কিছু সীমাবদ্ধতা আমরা নিজেরাও লক্ষ করেছি। বিশেষ করে নিরাপত্তা জনিত ইস্যুর সমাধানে আমরা প্রথম দিন থেকেই কাজ করছি। নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে ৯০ টি সিসি ক্যামেরা সচল রয়েছে। রবিবারের মধ্যে অপরাধীদের ধরা হবে এবং তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

 

এছাড়াও হামলার ঘটনায় বিচার চেয়ে প্রতিবাদলিপি দিয়েছে ইসলামি ছাত্রশিবির, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ও গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।

 

 

পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট