নগরীর কাজীর দেউড়ি এলাকায় সবুজায়নের মাধ্যমে একটি থিম পার্ক নির্মাণের আগ্রহ প্রকাশ করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। সেজন্য পার্ক নির্মাণে জিয়া জাদুঘরের সামনে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিত্যক্ত সম্পত্তি থেকে তিন একর জায়গা বরাদ্দ চেয়েছে চসিক। মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর গত বুধবার এই চিঠি দেন।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ৬০ বর্গমাইল বিশিষ্ট চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৭০ লক্ষাধিক নাগরিকের বসবাস। চট্টগ্রাম শুধু দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর ও বাণিজ্য নগরীই নয়- পাহাড়, নদী ও সমুদ্রবেষ্টিত এ নগরীর অপরূপ সৌন্দর্য পর্যটনের বিরাট সম্ভাবনারও আধার। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, এখানে নাগরিকদের জন্য পর্যাপ্ত উন্মুক্ত পার্ক নেই।
পার্কের জন্য জায়গা বরাদ্দ চেয়ে চিঠিতে বলা হয়, চট্টগ্রাম শহরকে সবুজ-শ্যামল ও বাসযোগ্য নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে সবুজায়ন ও সৌন্দর্যবর্ধনের লক্ষ্যে জিয়া জাদুঘরের সামনের পরিত্যক্ত সম্পত্তিটি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে বরাদ্দ প্রদান করা হলে সে জায়গায় সবুজায়নের মাধ্যমে থিম পার্ক তৈরি করে নগরবাসীর জন্য সুস্থ বিনোদনের ব্যবস্থা করা হবে।
এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয় চিঠিতে। উল্লেখ করা হয়, চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস সংলগ্ন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিত্যক্ত তিন একর সম্পত্তি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে বরাদ্দ প্রদানের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সর্বাত্মক আন্তরিক সহযোগিতার জন্য অনুরোধ করা হলো।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আগ্রহে ১৯৯২ সালের ১৩ জুলাই সার্কিট হাউস সংলগ্ন ৩ একর জমিতে শিশুপার্ক স্থাপনে সিটি কর্পোরেশনকে অনাপত্তি দিয়েছিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এরপর ১৯৯৪ সালে ঢাকার প্রতিষ্ঠান ভায়া মিডিয়া বিজনেস সার্ভিসেস লিমিটেডকে শিশুপার্ক করতে ২৫ বছরের জন্য জমিটি প্রথমবার ইজারা দিয়েছিল সিটি কর্পোরেশন। ২০১৯ সালের নভেম্বরে ইজারার মেয়াদ শেষ হয়।
এরপর ২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি আবার ১৫ বছরের জন্য একই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পার্কের জমিটির ইজারা চুক্তি নবায়ন করে সিটি কর্পোরেশন। এরমধ্যেই চুক্তির শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে জমির বরাদ্দ বাতিল করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। ২০২৩ সালের ২৩ অক্টোবর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জমির নিয়ন্ত্রণ নেন।
পূর্বকোণ/ইব