কয়েকজন তরুণ-তরুণী বই খাতা হাতে নিয়ে পড়াচ্ছে এক দল পথশিশুকে। পাশেই আরেক দল তরুণী আড্ডায় মগ্ন। একটু দূরেই আরো কয়েকজন তরুণ-তরুণী মেতে আছে আড্ডায়। শিরীষতলার চারপাশের পাকা সড়কে কয়েকজন ছেলে সাইকেল রেসে লিপ্ত। আবার দুই, তিনজন করে দল বেঁধে শরীর চর্চায় ব্যস্ত মধ্য বয়সী বেশ কয়েকজন নারী-পুরুষ। এভাবে সারাদিনই লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়ে সিআরবি শিরীষতলা। তবে বিকেলে পরিবেশটা আরো বেশি জমজমাট। অনেকেই আবার বিকেলের অবসর সময়টা কাটাতে আসেন এখানে। বিকেল চারটার পরে শিরীষতলার একটি মাঠে কয়েক ভাগে ভাগ হয়ে ক্রিকেট খেলে কয়েকটি দল। সব মিলিয়ে জমজমাট বিকেলের সিআরবি এলাকা। দালান কোঠার ভিড়ে এটি নগরবাসীর পছন্দের জায়গা। হাতে বই খাতা নিয়ে সিঁড়ির উপর বসে গ্রুপ স্টাডি করছে রিংকু, আফরোজা, সুমি ও সঞ্জয়। তারা বলেন, এখানে আমরা প্রায় সময় আসি। বন্ধুরা মিলে গ্রুপ স্টাডি করি। আর বিকেলের পরিবেশটাও ভালো লাগে। তারা নগরীর প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী। একটি সাদা বোর্ডের মধ্যে অনেকগুলো পথশিশুকে ছয়’র নামতা লিখে মুখে মুখে পড়াচ্ছেন রিপন তানভির। এখানে মালা, রিপন, সাইফুলের সাথে কথা হলে তারা বলেন, আমরা পালা করে সপ্তাহে দুইদিন শিশুদের পড়াতে আসি। এদের তো বাবা-মা পড়াশোনা করাতে পারেনা। তাই আমরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়–য়া একদল শিক্ষার্থী এদের পড়ার ব্যবস্থা করি। এতে আমাদেরও ভালো লাগে। আর এদের মধ্যে অনেক ভালো ভালো শিক্ষার্থীও আছে যারা পড়াশোনায় খুব ভালো। আমরা হয়তো অনেক কিছু করতে পারি না, তবে আমাদের সাধ্যের মধ্যে এদের একবেলা খাবারেরও ব্যবস্থাও করি। কথা হয় পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা বাহার উদ্দীনের সাথে।
তিনি বলেন, মাঝে মধ্যে আমার ছেলে-মেয়েকে নিয়ে এখানে ঘুরতে আসি।
ওরা এখানে এসে একটু খেলাধুলা করতে পারে। তবে মাঝে মধ্যে এমন সুন্দর জায়গায় কিছু অনাকাঙ্খিত ঘটনাও ঘটে। এই যেমন কিছু ছেলে যারা সুযোগ পেলে ছুরি ধরে টাকা মোবাইল নিয়ে যায়। এজন্য আসতে ভয়ও লাগে।