পুঁজিবাজারে পতন ঠেকাতে এবার নতুন সার্কিট ব্রেকার আরোপ করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। নতুন সার্কিট ব্রেকার অনুযায়ী পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সব কোম্পানির শেয়ারদর পূর্বের কার্যদিবসের দরের চেয়ে ৩ শতাংশের বেশি কমানো যাবে না। তবে পূর্বের সীমা অনুযায়ী শেয়ারদর বাড়তে পারবে। গতকাল বিএসইসি’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-ঊল-ইসলাম স্বাক্ষরিত আদেশে এই তথ্য জানানো হয়।
আজ থেকে এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা হবে। শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের বিদ্যমান লেনদের সীমা অনুযায়ী কোনো কোম্পানির শেয়ার দর নির্দিষ্ট কার্যদিবসে পূর্বের কার্যদিবসের ক্লোজিং দরের চেয়ে মূল্যভেদে সর্বোচ্চ ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি বা হ্রাস করা যেত। এই সীমা অনুযায়ী কোনো কোম্পানির শেয়ারের মূল্য ২০০ টাকার মধ্যে থাকলে পরদিন ওই শেয়ারের মূল্য সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে বা কমতে পারে। মূল্য ২০০ টাকার উপর থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ, ৫০০ টাকার উপর থেকে ১০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ, মূল্য ১০০০ টাকার উপর থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ, ২০০০ টাকার উপর থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত ৫ শতাংশ এবং মূল্য ৫০০০ টাকার বেশি হলে ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ বাড়তে বা কমতে পারে। তবে নতুন আদেশ অনুযায়ী যেকোনো কোম্পানির শেয়ারের আগের দিনের ক্লোজিং মূল্যের আলোকে পরদিন সর্বোচ্চ ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা গেলেও কমতে পারবে সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ।
পুঁজিবাজার ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড লেনদেনের এই নতুন সীমা নির্ধারণের কথা বলা হয়েছে আদেশে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত নতুন এই সীমা কার্যকর থাকবে।
নুতন সার্কিট ব্রেকার আরোপের বিষয়ে বিএসইসি নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. রেজাউল করিম বলেন, পুঁজিবাজারে অস্বাভাবিক লেনদেন ঠেকাতে নতুন এই সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। এখানে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষারও বিষয় রয়েছে। ১৯৬৯ সালের সিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী এটা করা হয়েছে।
পূর্বকোণ/এসএ