আজ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে একমাত্র জয়লাভই আফগানদের শেষ চারের আশা জিইয়ে রাখতে পারে। দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিমধ্যে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলেছে।
অন্যদিকে আফগানিস্তান আগের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হেরে যাওয়ায় তাদের সেমিফাইনালের আশা অনেক সমীকরণের ফাঁদে আটকে গেছে। তাই শুধু জয় নয়, নেটরানরেটের দিকেও তাদের নজর দিতে হবে। কেননা সেই দৌড়ে নিউজিল্যান্ড আর পাকিস্তানও রয়েছে। আফগানিস্তানের বোলিং শক্তি তাদের স্পিন আক্রমণ। ফজল হক ফারুকীর অনুপস্থিতিতে নবীন-উল-হক ও আজমতউল্লাহ ওমর জাইয়ের পেস আক্রমণ প্রতিপক্ষের উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারেনি। তবে এখানে বারবার সবার সামনে ভেসে উঠবে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের অতিমানবীয় ইনিংসের ছবি। যার সামনে আফগানিস্তানের রশিদ খান, মুজিব-উর-রহমান, মোহাম্মদ নবী ও নূর আহমদের মিশ্রিত আক্রমণ খড়কুটোর মত উড়ে গেছে। ব্যাটিং এ গুরবাজ, ইব্রাহিম মাদরান, হাসমতউল্লাহ, রহমত শাহ তাদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখলেও শেষ রক্ষা হচ্ছে না দলটির। তবে হাল না ছাড়ার মানসিকতা ও লড়াকু মনোভাব তাদের প্রধান শক্তি।
নেদারল্যান্ডসের সাথে পরাজয়ের পর দক্ষিণ আফ্রিকা ঘুরে দাঁড়িয়েছিল এবং একসময় পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থানে অবস্থান ধরে রেখেছিল। কিন্তু ভারতের সাথে পরাজয়ের পর অনেকেই মনে করছেন চিরন্তন ‘চোকার’ তকমাটা আবার বোধহয় সেঁটে বসেছে। তবে সেমিফাইনালের আগে তারা আবারও তাদের ফর্ম ফিরে পেতে চাইবে। কুইন্টন-ডি-কক, এইডেন মার্করাম, ডেভিড মিলার, হেনরিক ক্লাসেজ, ফন ডার ডুসেন ও মার্কো ইয়ানসেন সমৃদ্ধ তাদের ব্যাটিং লাইন আপ নিজেদের দিনে সে কোন বোলিংকে ছারখার করে দিতে পারেন। পেস বোলিংয়ে নেতৃত্ব দেবেন কাগিসো রাবাদা ও লুঙ্গি এনগিডি ও জেরাল্ড কোয়েৎজি। প্রোটিয়াদের স্পিন আক্রমণ বেশ শক্তিশালী। কেশব মহারাজের সঙ্গে রয়েছন ‘চায়না ম্যান’ তাবরেজ শামসি। প্রয়োজনে এইডেন মার্করাস ও মার্কো ইয়াজসেন বোলিংয়ে তাদের পারদর্শিতা দেখাতে পারেন।
আজকের ম্যাচে অবশ্যই সবাই দক্ষিণ আফ্রিকা ৬০-৪০ হিসাবে এগিয়ে রাখবে। তবে আফগানদের যোদ্ধা যোদ্ধা ভাব এবং অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তাদের পরাজয়- ‘আন্ডারডগ’ আফগানদের তুষের আগুন আবার জ্বালিয়ে দিলে অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না।
পূর্বকোণ/আরডি