প্রিন্স হ্যারির জন্মের সময় রাজা চার্লস একটি মেয়ে সন্তানের আশা করেছিলেন। কিন্তু ডায়ানার গর্ভে ছেলে সন্তান (হ্যারি) জন্ম নেওয়ায় বেশ হতাশ হয়েছিলেন চার্লস। সম্প্রতি প্রিন্সেস ডায়ানার প্রকাশিত নতুন অডিওতে এমনটাই জানা গেছে। প্রয়াত প্রিন্সেস ডায়ানা ১৯৯০-এর দশকে একাধিক অডিও টেপ রেকর্ড করেছিলেন। ১৯৯৭ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর পূর্বে তিনি সেগুলো গোপনে লেখক অ্যান্ড্রু মর্টনের কাছে পৌঁছে দিয়েছিলেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সিএনএন। প্রিন্সেস ডায়ানার মৃত্যুর পর ‘ডায়ানা : হার ট্রু স্টোরি ইন হার ওন ওয়ার্ডস’ নামে বই লিখেন মর্টন।

আগামী বছর ‘ডায়ানা : দ্য রেস্ট অব হার স্টোরি’ নামে একটি ডকুমেন্টারি বের হওয়ার কথা রয়েছে। সেটি মুক্তির আগেই সাধারণ মানুষকে শোনানোর জন্য এ ধরনের অডিও প্রকাশ্যে এসেছে। গত বৃহস্পতিবার ডায়ানার মৃত্যুর ২৬ বছর পূর্ণ হয়েছে। এবিসির গুড মর্নিং আমেরিকা শোয়ের দর্শকরা টেপগুলো শোনার সুযোগ পেয়েছেন। অডিওতে ডায়ানা বলেছেন, তার স্বামী এমনকি তার সৎ মা রেইন স্পেনসারের সঙ্গেও তিনি কথা বলেন না। কারণ হ্যারির নাম রাখার সময় চার্লস মামির কাছে গিয়ে বলেছিলেন, ‘আপনি জানেন আমরা খুব হতাশ ছিলাম। আমরা ভেবেছিলাম এটি একটি মেয়ে হবে।’

এরপর মামি চার্লসের মাথায় চাঁটি মেরে বলেছিলেন, স্বাভাবিক সন্তানের জনক হওয়ায় তোমার শুকরিয়া আদায় করা উচিত। প্রিন্স হ্যারি ও তার স্ত্রী মেগান ২০২০ সালের জানুয়ারিতে ঘোষণাদিয়ে ব্রিটিশ রাজপরিবারের সিনিয়র সদস্য হিসেবে তাদের ভূমিকা থেকে সরে আসেন। নিজেরা আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য ব্যবসা করার পরিকল্পনা করেন।

জবাবে প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ তখন একটি বিবৃতিতে বলেছিলেন, তারা আর রাজপরিবারের দায়িত্ব পালন করবেন না এবং রাজকীয় দায়িত্বের জন্য সরকারি তহবিলও পাবেন না। সদ্য প্রকাশিত অডিওতে ডায়ানা তার সৎ মায়ের সঙ্গে নিজের তিক্ত সম্পর্ক নিয়েও আলোচনা করেছেন। ডায়ানার মৃত্যুর পর ২০০৫ সালে ক্যামিলাকে বিয়ে করেন প্রিন্স চার্লস। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর সিংহাসনে আরোহণের মধ্য দিয়ে রাজা হন চার্লস। আর ব্রিটেনের নতুন কুইন কনসর্ট হন ক্যামিলা।

পূর্বকোণ/আরডি