চট্টগ্রাম রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ:

হাজিদের স্বাস্থ্যসনদ পেতে বিড়ম্বনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

১ জুন, ২০২৩ | ১১:২০ পূর্বাহ্ণ

মো. রেজাউল। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যাচ্ছেন চলতি বছর। নিয়ম অনুযায়ী স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও টিকাদান কার্যক্রম শেষ করেছেন, তাও প্রায় সপ্তাহখানে আগে। কিন্তু গতকাল পর্যন্ত তিনি স্বাস্থ্যসনদ অনলাইন থেকে সংগ্রহ করতে পারেননি। অথচ বিদ্যমান নিয়মে এই সনদটি একদিনেই তার পাওয়ার কথা। এক সপ্তাহ অতিক্রম করার পরও স্বাস্থ্যসনদ হাতে না পাওয়ায় দুশ্চিন্তা ভর করছে রেজাউল করিমের মনে। শুধু রেজাউল নন, তার মতো অসংখ্য হজযাত্রী স্বাস্থ্যসনদের অনলাইন কপি পেতে বিড়ম্বনায় পড়েছেন। এ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে, হাজিরা স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময় কোভিড সনদ প্রদান না করায় এবং আইটি বিভাগের জনবল সংকটের কারণেই অনলাইনে সংশ্লিষ্ট যাবতীয় তথ্য পূরণ করতে সময় লাগছে। কয়েকদিনের মধ্যেই অনলাইনে স্বাস্থ্যসনদ পাবেন হজ যাত্রীরা।

 

প্রসঙ্গতঃ গত ১৬ মে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতেও হজযাত্রীদের টিকা প্রদানের সঙ্গে সঙ্গে প্রতিদিন ডাটা এন্ট্রি হালনাগাদ করার কথা বলা হয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ৭ মে থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে জেলার সরকারি বেসরকারি সকল হজযাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। প্রতিদিন সকাল আটটা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত এ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। স্বাস্থ্য পরীক্ষার পাশাপাশি একই সময়ে ম্যানিনজাইটিস ও ইন্ধসঢ়;ফুয়েঞ্জার ভ্যাকসিনও প্রদান করা হচ্ছে। নিয়ম অনুযায়ী হাজিদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদন সঙ্গে সঙ্গেই অনলাইনে আপলোড করা কথা। কিন্তু ৮-১০ দিন পার হলেও অনেকেই তা সংগ্রহ করতে পারছেন না বলে অভিযোগ তুলেছেন হজ এজেন্সিগুলো। 

 

হজ্জ এজেন্সিজ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) চট্টগ্রামের সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, ‘সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদন অনলাইনে আপলোড করা হলে পরবর্তীতে হাজিরা তাদের সনদটি সংগ্রহ করতে সুবিধা হতো। কারও কারও ৮ থেকে ১০ দিনও পার হয়ে গেছে কিন্তু সনদ সংগ্রহ করতে পারেননি। এতে বিমানের ফ্লাইটসহ ভিসা সংক্রান্ত বিষয়ে জটিলতায় পড়তে হচ্ছে হাজিদের।’  চমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, গতকাল পর্যন্ত হাসপাতালের কেন্দ্র থেকে ৯ হাজারের অধিক হজযাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার পাশাপাশি ভ্যাকসিন কার্যক্রম শেষ করেছেন। যার মধ্যে প্রায় ৭ হাজার যাত্রীর সকল কাগজপত্র ঠিক থাকায় ইতোমধ্যে অনলাইনে আপলোড করেছেন। তবে বাকি দুই হাজার যাত্রীর এখনও আপলোড করা যায়নি। এ দুই হাজার যাত্রীর মধ্যে বহু সংখ্যক হাজির কোভিড ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট জমা করেননি কিংবা অনলাইনেও আপলোড নেই। যার কারণে তাদের হজের সনদও আপলোড করা যাচ্ছে না। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট কাজের পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় একটু দেরি হচ্ছে। যারা আছেন তারাও দিন রাতে একযোগে কাজ করে যাচ্ছেন।

 

হজযাত্রীদের হেলথ ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা চমেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. শাহিদা আক্তার বলেন, ‘অনলাইনের পাসওয়ার্ড সবাইকে দেয়া যায় না। এটি সুরক্ষিত পাসওয়ার্ড। যারা এ কাজের জন্য নিয়োজিত কর্মী, তাদের সংখ্যাও বেশি নয়। তবুও তারা দিনরাত এ কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। এছাড়াও যেসব হাজিদের ফ্লাইট খুবই কাছাকাছি থাকে, তাদের অনেকের সঙ্গে সঙ্গে সনদ আপলোড করে দেয়া হচ্ছে। তবে এ সমস্যা আগামী কয়েকদিনের মধ্যে সমাধান হয়ে যাবে। এরপরও যদি কারও ফ্লাইটের অসুবিধা হয়, আমাদের সাথে যোগাযোগ করলে আমরা তা ব্যবস্থা করে দেব।’

পূর্বকোণ/পিআর 

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট