কিছুদিন পরেই পবিত্র ঈদুল আজহা পালিত হবে। কোরবানি ঈদকে ঘিরে রয়েছে প্রচলিত কিছু ভুল যা বেশিরভাগই মানুষের মধ্যে সীমাবদ্ধ।
জেনে নেয়া যাক প্রচলিত ভুলগুলো
১. কোরবানি করতে অক্ষম ব্যক্তি যদি ঈদুল আজহার পর ঘরে দুই রাকাত নামাজ নির্দিষ্ট সুরা দিয়ে পড়ে, তাহলে সে কোরবানির সওয়াব পাবে। (ফাতাওয়া-মাহমুদিয়া ৪/৩৯৪)
২. জিলহজ মাসের চাঁদ দেখার পর কোরবানি করার পূর্ব সময় কোনো পশুপাখি জবাই না করার যে রীতি সমাজে প্রচলিত, শরিয়তে এর কোনো ভিত্তি নেই
৩. অনেকে কোরবানি করার কিংবা চামড়া খসানোর আগেই পশুর চামড়া বিক্রি করে থাকে। তাদের এমন বিক্রি হারাম। (আশরাফুল ফাতাওয়া-৩/৩০০)
৪. কোরবানির গোশত তিন দিনের বেশি রেখে খেতে পারবে না, শরিয়তে এমন কোনো নিয়ম নেই। (সহিহ বুখারি, হাদিস :৫১৭১)
৫. পশু জবাই করার আগে ছুরি সবার হাত স্পর্শ করিয়ে নেয়ার নিয়ম শরিয়তে নেই।
৬. অনেকে খাসি করা প্রাণী কোরবানি করা বৈধ মনে করে না, এটা তাদের ভুল ধারণা। বরং খাসি করা প্রাণী কোরবানি করা অপেক্ষাকৃত বেশি উত্তম। (আগলাতুল আওয়াম)
৭. অনেকে মনে করেন যাদের নামে কোরবানি করা হয়, তাদের সবার তাকবির বলা আবশ্যক। এক জনও তাকবির না বললে কারো কোরবানি হবে না। এটা ভুল ধারণা। বরং যে পশু জবাই করবে তার জন্য তাকবির বলা আবশ্যক। (ইমদাদুল ফাতাওয়া ৩/৫৪০)
৮. কোরবানি করার সময় মুখে নিয়ত করা জরুরি নয়, বরং মনে মনে খেয়াল করিই যথেষ্ট যে, আমি আল্লাহর নামে কোরবানি করছি। তবে মৌখিক দোয়া পড়া মুস্তাহাব।
৮. যাদের পক্ষ থেকে কোরবানি করা হচ্ছে, জবাই করার সময় তাদের নাম মুখে উচ্চারণ করা জরুরি নয়। (জাওয়াহিরুল ফিকহ ৬/২৭৩)
৯. পশু ক্রয়ের সময় নিয়ত করা যথেষ্ট, জবাই করার সময় নিয়তের প্রয়োজন নেই। (শামি ৬/২৯৪)
পূর্বকোণ/সাফা/পারভেজ