একদিকে থেমে থেমে বৃষ্টি, অন্যদিকে ভ্যাপসা গরম। এই দুইয়ে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। বাতাসে জ্বলীয় বাষ্প ও আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি হলেও বৃষ্টির পরিমাণ কমে যাওয়ায় এই ভ্যাপসা গরম লাগছে। বর্ষার বৃষ্টি শুরু হবে আর ক’দিন পরেই। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, টানা বৃষ্টিতে এই গরম থাকবে।
আজ শনিবার ( ৬ জুন) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ দশমিক ২ ডিগ্রি ছিল খুলনায়। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ঢাকা, আজ ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে চট্টগ্রামে ৩৩ দশমিক ৫, রাজশাহীতে ৩৩ দশমিক ৭, বরিশালে ৩৩ দশমিক ৮, সিলেটে ৩৩ দশমিক ৮, ময়মনসিংহে ৩২ দশমিক ৮ এবং রংপুরে ৩৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ আফতাব উদ্দিন বলেন, গত কয়েকদিনের তাপদাহ কমতে দরকার টানা ভারী বৃষ্টি। টানা বৃষ্টি না হওয়া এবং বৃষ্টির পরিমাণ কম হওয়ার কারণে বাতাসে আর্দ্রতা থাকার পরও গরম অনুভূত হচ্ছে। মাটি থেকে অল্প বৃষ্টির কারণে ভাপ উঠছে তাই আবহাওয়া ভ্যাপসা হয়ে যাচ্ছে। ফলে গরম অনুভূত হচ্ছে তাপমাত্রার চেয়েও বেশি।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, এখন যে বৃষ্টি হচ্ছে তা পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাবে। পশ্চিমবঙ্গ ও এর আশেপাশের এলাকায় পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ অবস্থান করছে। পূর্বাভাসে বলা হয়, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; রংপুর, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও হতে পারে মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ।
এদিকে আজ শনিবার দিবাগত রাত ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, ময়মনসিংহ, সিলেট, কুমিল্লা, নোয়াখালী এবং চট্টগ্রাম অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ-হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া দেশের অন্য এলাকায় ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। একইসঙ্গে হতে পারে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর নৌ-হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
পূর্বকোণ/আরপি