চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

১৬ হাজার ২৭৬ কোটি টাকার ১০ প্রকল্প অনুমোদন

২ জুন, ২০২০ | ৬:৩৫ অপরাহ্ণ

সাধারণ ছুটির পর ভার্চ্যুয়ালি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশের ইতিহাসে এভাবে একনেক বৈঠক এবারই প্রথম হয়েছে। এতে ১৬ হাজার ২৭৬ কোটি টাকা ব্যয় ধরে ১০ প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকার দেবে ১৪ হাজার ৪০১ কোটি ৫২ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক ঋণ এক হাজার ৮৮১ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।

মঙ্গলবার (২ জুন) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এই প্রকল্পগুলোর অনুমোদন দেয়া হয়। এতে গণভবন থেকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী এবং একনেক চেয়ারপারসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভাশেষে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের এসব তথ্য তুলে ধরেন।

অনুমোদিত প্রকল্পের মধ্যে ‘কোভিড-১৯ ইমার্জেন্সি রেসপন্স এন্ড প্যানডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস’ প্রকল্প। এটি বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে ১ হাজার ১২৭ কোটি ৫২ লাখ টাকা। এর মধ্যে বিশ্বব্যাংকের দেওয়া সহজ শর্তের ঋণ ৮৫০ কোটি টাকা, বাকি টাকা ব্যয় করা হবে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে। প্রকল্পের আওতায় করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করতে নির্বাচিত হাসপাতালে টেস্টিং সুবিধা বাড়ানো, করোনা চিকিৎসা সংক্রান্ত বিভিন্ন সরঞ্জাম কেনা এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণসহ নানা সুবিধা নিশ্চিত করা হচ্ছে।

এছাড়া ‘কোভিড-১৯ ইর্মাজেন্সি রেসপন্ড এন্ড প্যানডেমিক রেসপন্স’ নামে ১ হাজার ৩৬৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকার প্রকল্প। এই প্রকল্প ব্যয়ের মধ্যে ৮৫০ কোটি টাকা ৯৭ লাখ টাকা আসছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ঋণ থেকে, বাকি টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় হবে। প্রকল্পের আওতায় দেশের ১৭টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা ইউনিট দিয়ে সজ্জিত করা, কমপক্ষে ১৯টি পরীক্ষাগারের সক্ষমতা ও গুণগত মানকে কোভিড-১৯ মাইক্রোবায়োালজিক্যাল ডায়াগনস্টিক সুবিধা দিয়ে উন্নত করা হচ্ছে। এছাড়া স্বাস্থ্য খাতের কমপক্ষে ৩ হাজার ৫০০ জন কর্মীকে আধুনিক দক্ষতা এবং জ্ঞানের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে পিসিআর মেশিন, পিসিআর ল্যাব, আইসিইউ, পিপিই ও মাস্ক কেনার কাজে এই প্রকল্পের টাকা খরচ করা হচ্ছে।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ কোটি ৪০ লাখ শিক্ষার্থীর জন্য ‘প্রাথমিক উপবৃত্তি (তৃতীয় পর্যায়)’ দ্বিতীয় সংশোধিত প্রকল্পটির বাস্তবায়নে সরকারি তহবিল থেকে ব্যয় হবে ১৩ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া তিন হাজার ১২৮ কোটি টাকার ‘মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম (সপ্তম পর্যায়)’ শীর্ষক প্রকল্প যা পুরোটাই সরকারি ব্যয় হবে।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট