প্রাইম মুভার ও ফ্ল্যাটবেড ওনার এসোসিয়েশন এবার কন্টেইনারবাহী ট্রেইলার চলাচল বন্ধের হুমকি দিয়েছে। গতকাল (সোমবার) এসোসিয়েশনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় এই হুমকি দেয়া হয়। গত ২ এপ্রিল থেকে তারা লোবেড ও সেমিলোবেড গাড়ি চালানো অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রেখেছে।
এসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী সভাপতি মো. আবু বক্কর সিদ্দিকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল হাশেমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তারা বলেন, আমাদের লো বেড, সেমি-লোবেড ভারী মালামাল পরিবহণে বিভিন্ন সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে এক রকম অচল অবস্থার প্রেক্ষিতে গত ২৮ মার্চ চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করে দাবি আদায়ের জন্য সময় বেধে দেয়া হয়। তারপরও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় (বিশেষ করে ওভারলোড নিয়ন্ত্রণে স্কেলে হয়রানি, ভারী মালামাল পরিবহণে পুলিশি হয়রানি, যখন তখন মালিকের স্বার্থ পরিপন্থী আইন পরিবর্তন) এ ব্যাপারে গত ২ মে থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য লো-বেড, সেমি- লোবেড ভারী মালামাল পরিবহণ বন্ধ রয়েছে। তাতেও কর্তৃপক্ষ বিষয়টি সুরাহার উদ্যোগ না নেয়ায় এখন আরো কঠোর কর্মসূচির কথা ভাবছে সংগঠন।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম জানান, ২০১৬ সালে প্রাইম মুভার ট্রেইলারের ৬ দফা আন্দোলনে ৫ দিন বন্ধের প্রেক্ষিতে সরকার ওভারলোড নিয়ন্ত্রণে ৪ এক্সেল (১৪ চাকা) বিশিষ্ট ট্রেইলারের ৪০ টন নির্ধারণ করে এবং ৪ এক্সেল এর পরে প্রতি এক্সেলে সোয়া ৭ টন ওজন সীমা বৃদ্ধি পাবে সেই অনুযায়ী ভারী মালামালবাহী লো বেড, সেমি লোবেড এক্সেল অনুসারে ভারী মালামাল পরিবহণ করে আসছিল। কিন্তু ৬-৭ মাস আগে সরকার ৫ এক্সেলের পরে সোয়া ৭ টনের স্থলে ২ টন নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। সেই সাথে ভারী মালামালের দৈর্ঘ্য প্রস্ত ও উচ্চতার ক্ষেত্রে বিধিবিধান আরোপ করে। পুলিশ প্রশাসন মালামাল পরিবহণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। দেশের সর্বোচ্চ মেগা প্রকল্পের কাজে দেশের কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগকারী ভারী গাড়ির মালিকদের উপেক্ষা করে কিছু বিদেশি কোম্পানি তাদের নিজস্ব ইকুইপমেন্ট ভারী লোবেড ব্যবহার করে আমাদের পথে বসিয়েছে। এমনকি তাদের গাড়িগুলোর রেজিস্ট্রেশন পর্যন্ত নেই। তাতে একদিকে যেমন সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে অন্যদিকে রেজিস্ট্রেশনকৃত অনেক গাড়ির মালিক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অচিরেই চলমান সমস্যা সমাধান না হলে চট্টগ্রাম বন্দর ও দেশের মেগা প্রকল্পসহ সারা দেশের প্রাইম মুভার ফ্লাটবেড কন্টেইনারবাহী ট্রেইলার বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এ ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ এবং সেই সাথে দেশের সকল পরিবহন মালিক শ্রমিক সংস্থার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি
সভায় বক্তব্য রাখেন মো.মোরশেদ হোসেন নিজামী, হাজী মো. হারুন, মো. এনামুল হক, মো.জসিম উদ্দিন, মো.আব্দুর রাজ্জাক, মো.হোসেন, রেজাউল করিম, হাজি মো. কামাল, মো. আবছার, মো. সবুজ, মো. দিদার, মো. ঈসমাইল, মো. লিটন, মো. আকরাম, মো. মুকুল, মো. বাদশা, প্রবীর ঘোষ, মো. সালাউদ্দিন, পলাশ, হাজি মো. নবী, শহীদুল ইসলাম, মো. জাফর, মো. হানিফ প্রমুখ।-বিজ্ঞপ্তি