শিপিং এজেন্টস ও এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষকে আজ থেকে বাধ্যতামূলকভাবে এডভান্স কার্গো মেনিফেস্ট দাখিল করার বিষয়টি চূড়ান্ত করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনআরবি)। কাস্টমস আধুনিকায়ন ও প্রকল্প ব্যবস্থাপনা সচিব মো. গিয়াস কামাল স্বাক্ষরিত পত্র থেকে জানা যায়, আন্তর্জাতিক বিশ্বের সাথে সংগতি রেখে জাহাজ ও উড়োজাহাজকে পোর্ট ছাড়ার আগেই মেনিফেস্ট দাখিলকরণের বিধান কাস্টমস এ্যাক্টে অন্তর্ভুক্তি করা হয়েছে যা আজ থেকে কার্যকর হতে চলেছে। পূর্বের কাস্টম এ্যাক্ট এর বিধান অনুযায়ী জাহাজ বাংলাদেশের জলসীমানায় নোঙর করার ২৪ঘণ্টা এবং উড়োজাহাজ আসার ২৪ঘণ্টার মধ্যে মেনিফেস্ট দাখিলের বাধ্যবাধকতা ছিল, যা আধুনিক কাস্টমস ব্যবস্থাপনা ও ট্রেড ফেসিলেশনের সাথে সংগতিপূর্ণ নয়। বাংলাদেশে কাস্টমস ব্যবস্থাপণায় ইন্টারনেট সুবিধা ও ওয়েব বেইজড অটোমেটেড সিস্টেম চলু থাকার পরেও এই নিয়মে এতোদিন আমদানি কার্যক্রম চলতো। যার কারণে বিল অব এন্ট্রি দাখিল ও রেজিস্ট্রেশন, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট এবং পণ্য খালাসের লেন নির্ধারণ থেকে শুরু করে পণ্যের কায়িক পরীক্ষা, শুল্কায়ণ ও করপরিশোধকরণে অনেক সময় ব্যয় হতো। তবে ২৪ঘণ্টার মধ্যে মেনিফেস্ট দাখিল করার সময় নির্ধারণ করে দেওয়ায় দ্বিধায় রয়েছেন শিপিং এজেন্টস ও আমদানিকারকেরা। এই বিষয়ে বংলাদেশ ফ্রেইট ফরওয়ার্ডার্স এসোসিয়েশনের পরিচালক খায়রুল আলম সুজন পূর্বকোণকে জানান, ‘রাজস্ব বোর্ডের এই বিধানে বন্দরের গতি বড়তে পারে ঠিক, কিন্তু পণ্য আমদানিতে পণ্যের জাহাজ (ফিডার জাহাজ), মেইল লেন অপারেটর ও ফ্রেইট ফরওয়ার্ডারসদের আইজিএম (ইমপোর্ট জেলারেল মেনিফেস্ট) দাখিলে
। ৯ম পৃষ্ঠার ৫ম ক.
ক্রমান্বয়ে কাজ করতে হয়। সে হিসেবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মেনিফেস্ট দাখিল করতে গেলে কে কতটুকু সময় পাবে তা উল্লেখ করেনি এনবিআর। যা আমাদের কাজে দ্বিধা সৃষ্টি করবে। তবে চট্টগ্রাম কাস্টামস কমিশনার আমাদের আস্বস্ত করেছেন এডভান্স কার্গো মেনিফেস্ট দাখিলে যেন কারো কোন সমস্যা না হয় বা অনিহা প্রকাশ না করে সেজন্য সকল কার্যক্রমকে সহনশীলভাবে দেখা হবে’।
সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, এনবিআর এর এই বিধানের ফলে সঠিক ও নির্ভুল কার্যক্রম গ্রহণের জন্য পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যাবে। এছাড়া বন্দরে পণ্য আসার অনেক আগেই পণ্য খালাস সংক্রান্ত অনেক কাজ আগে থেকেই সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। পণ্য খালাসের সঠিক লেন আগে থেকেই নির্ধারণ করা সম্ভব হবে। পণ্য খালাসে গতি ফিরবে এবং কমবে জাহাজ জট। এসব সুবিধা বাড়বে চট্টগ্রাম বন্দরে। সেই সাথে আমদানিকারকের প্রতিনিধি সিএন্ডএফ এজেন্টরা শুল্ক পরিশোধ করে দ্রুত পণ্য খালাস করতে পারবেন। আর পণ্যে ঝুঁকির বিষয়েও আগে থেকেই ব্যবস্থা নিতে পারবেন কর্তৃপক্ষ।