সঠিক নীতি, পদ্ধতি-কর্মপন্থা ঠিক করতে পারলে দেশের পাটগুলোকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা সম্ভব হবে। নতুন টেকনোলজি ব্যবহারের ফলে গড় উৎপাদন ৬০ শতাংশ বেড়ে যাবে। গতকাল শনিবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিং’এ এ দাবি করেছে পাট-সুতা ও বস্ত্রকল শ্রমিক-কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদ। বন্ধকৃত রাষ্ট্রায়ত্ব পাটশিল্পের বিরাজমান পরিস্থিতি সম্পর্কে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
পরিষদের আহ্বায়ক প্রবীণ শ্রমিক নেতা সহিদুল্লাহ চৌধুরী বলেন, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে পাট ও পাট পণ্যের চাহিদা রয়েছে। এই চাহিদা উত্তোরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঠিক তখনই সরকার রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকলগুলো বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। এ সিদ্ধান্ত ছিল ভুল তথ্যের ওপর। তিনি আরও বলেন, পাট চাষ, প্রক্রিয়াকরণ, পাট ও পাট জাতীয় বিভিন্ন উপকরণ তৈরি ও বাণিজ্যের সাথে প্রায় ৪ কোটি মানুষের জীবন-জীবিকা জড়িত। রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকল বন্ধ ঘোষণা করায় স্থায়ী, বদলি ও ক্যাজুয়াল সবমিলিয়ে প্রায় ৫১ হাজার পাটকল শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে।
এ সমময় উপস্থিত ছিলেন সংগ্রাম পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুল আহসান, আসলাম খান, শ্রমিক-কর্মচারী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মো. মছিউদদ্দৌলা, হাফিজ জুট মিল ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম চৌধুরী, আমিন জুট মিলস শ্রমিক-কর্মচারি ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. মোস্তফা আমিন, পাটকল শ্রমিক-কর্মচারি ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম, এশিয়াটিক কটন মিলস ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি মো. আলী প্রমুখ। -বিজ্ঞপ্তি
পূর্বকোণ/এএ