চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

দ্রুতগতির সেবা পাবেন আরও সাড়ে আটাশ হাজার গ্রাহক

সারোয়ার আহমদ

১৬ অক্টোবর, ২০২০ | ২:৩১ অপরাহ্ণ

নগরীতে বিটিসিএল’র আরও সাড়ে আটাশ হাজার নতুন গ্রাহক পাবেন দ্রতগতির ‘জিপন’ (গিগাবিট প্যাসিভ অপটিক্যাল নেটওয়ার্ক) ইন্টারনেট সংযোগ। যার মাধ্যমে একটি লাইন দিয়েই ভিডিও, ভয়েস এবং ইন্টারনেট সেবা পাবেন গ্রাহকেরা। আন্ডারগ্রাউন্ড অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে ‘জিপন’ সংযোগ দেয়ার কারণে লাইন কাটা পড়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশংকাও অনেক কমে যাবে।
বিটিসিএল চট্টগ্রাম অঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা পূর্বকোণকে জানান, নগরীর নন্দনকানন থেকে ১০ হাজার, আগ্রাবাদ থেকে সাড়ে ৬ হাজার, বায়েজিদ থেকে ৩ হাজার, মুরাদপুর থেকে ৩ হাজার, সাগরিকা থেকে ৩ হাজার, পাহাড়তলী থেকে ১ হাজার এবং কালুরঘাট এক্সচেঞ্জ থেকে ১ হাজার ‘জিপন’ সংযোগ দেয়া হবে। সব মিলিয়ে সাড়ে ২৮ হাজার নতুন গ্রাহক পাবে এই সংযোগ। হাইস্পিড ব্যান্ডউইথ শেয়ারড ফাইবার এক্সেস প্রযুক্তির এই সংযোগে আইপি ফোন ও ডিস সংযোগ দেয়ার পরিকল্পনাও রেখেছে বিটিসিএল।
তিনি আরো জানান, সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার কথা মাথায় রেখে এই সংযোগ দেয়া হবে স্বল্প মূল্যে। ২ এমবিপিএস ‘জিপন’ ব্যান্ডউইডথ মূল্য ভ্যাটসহ ৩৫০ টাকা। ভ্যাটসহ ৫ এমবিপিএস এর দাম ৫০০ টাকা, ১০ এমবিপিএস ভ্যাটসহ ৭৫০ টাকা এবং ২০ এমবিপিএস ব্যান্ডউইথের দাম ভ্যাটসহ ১২০০ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে। এই টাকায় অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে সংযোগ দেয়া হবে। তবে কেউ যদি শুধু টেলিফোন কাজে লাইন নিতে চায় তবে তাদের কপার ট্রান্সমিশন লাইনের সংযোগ দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, আধুনিক টেলিকমিউনিকেশন সুবিধা গড়ে তোলার পাশাপাশি টেলিফোন ব্যবহারের হার বাড়ানোর লক্ষ্যে বিটিসিএল তাদের এক্সচেঞ্জগুলোর যন্ত্রপাতি আধুনিকায়ন করছে। কপার ট্রান্সমিশন লাইনের পরিবর্তে ফাইবার অপটিক ক্যাবল এর মাধ্যমে দেশব্যাপী টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কে আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। ফলে ভয়েস কলের পাশাপাশি ইন্টারনেট ও ভিডিও আদান-প্রদানের সুযোগ বাড়ছে। এর মাধ্যমে জনসাধারণ কম দামে তথ্যপ্রযুক্তিসেবা পাচ্ছে।
এরই মাধ্যমে ইন্টারনেট প্রটোকল (আইপি) ফোনের সংযোগ, ই-গভর্নেন্স, ই-কমার্স, ই-এডুকেশন, ই-হেলথ, ই-কৃষি ও অন্যান্য সুযোগ যুক্ত করেছে বিটিসিএল। সর্বশেষ ‘জিপন’ সংযোগ চালুর মাধ্যমে বিটিসিএল একাধারে টেলিফোন, ইন্টারনেট, ডিশ সংযোগ ছাড়াই টিভি চ্যানেল দেখার সুযোগ নিয়ে আসছে তাদের গ্রাহকদের জন্য।
সাধারণ মানুষ যাতে সাশ্রয়ী খরচে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারেন সে লক্ষ্যে ২০০৯ সালের আগস্ট মাসে প্রতি এমবিপিএস ইন্টারনেটের মূল্য ২৭ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ১৮ হাজার টাকায় নির্ধারণ করা হয়। পরে ২০১১ সালের এপ্রিলে ১২ হাজার টাকা, ২০১২ সালের এপ্রিলে ৮ হাজার টাকা, ২০১৪ সালের এপ্রিলে ২ হাজার ৮০০ টাকা এবং ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে সর্বোচ্চ ৯৬০ টাকা এবং সর্বনিম্ন ৩৬০ টাকায় কমিয়ে আনা হয়। সবশেষ গত বছরের ২৭ জুন এক এমবিপিএস ব্যান্ডউইডথের সর্বনিম্ন চার্জ ৩৬০ টাকা থেকে ১৮০ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট