কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের চাকমার কুলের পাহাড়ি এলাকা থেকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ৯ রোহিঙ্গাকে অস্ত্রসহ আটক করেছে র্যাব। আজ মঙ্গলবার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে চারটি দেশিয় তৈরি অস্ত্র, ২০ রাউন্ড কার্তুজ, ধারালো কিরিচ, লোহার রড ও গুলতি উদ্ধার করা হয়েছে।
আটকরা সবাই কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরের বাসিন্দা। তারা সম্প্রতি কুতুপালংয়ে রোহিঙ্গা শিবিরে গোলাগুলির ঘটনায় জড়িত ছিল বলে জানিয়েছে র্যাব।
প্রসঙ্গত, কুতুপালংয়ের নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের গ্রুপ ও অনিবন্ধিত অপর একটি গ্রুপের মধ্যে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও আধিপত্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। গত ৬ দিনে খুন হয়েছে ৪ জন। সর্বশেষ সোমবারও কুতুপালং ক্যাম্পে মোহাম্মদ ইয়াছিন (২৪) নামে এক রোহিঙ্গা যুবক খুন হয়।
এর আগে গত ২ অক্টোবর ভোর রাতে সমিরা নামের এক রোহিঙ্গা নারী নিহত হয়।এরই ধারাবাহিকতায় ৪ অক্টোবর ভোররাতেও উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে দুই রোহিঙ্গা নিহত হয়। এর আগে ৩০ সেপ্টেম্বর একইভাবে সংঘর্ষে ১৫ জনেরও বেশি রোহিঙ্গা আহত হয়।
এ নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক তৎপরতারমুখে কতিপয় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী কুতুপালং এলাকা থেকে ছেড়ে চাকমারকুলের পাহাড়ে অবস্থান নিয়েছিল বলে জানিয়েছে র্যাব।
র্যাব-১৫ এর কক্সবাজার ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান জানান, ‘কিছু রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবির এলাকায় গোলাগুলি করেছিল। দু’কদিন আগে র্যাব তাদের ধাওয়া দেয়। এক পর্যায়ে তারা কুতুপালং ছেড়ে হোয়াইক্যংয়ের চাকমারকুল এলাকার পাহাড়ে অবস্থান নেয়। গোপন সূত্রে তাদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে অভিযান চালায় র্যাব। এ সময় আমরা ৯ জনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছি। তাদের কাছ থেকে দেশিয় তৈরী চারটি অস্ত্র, ২০ রাউন্ড কার্তুজ,কিরিচ উদ্ধার করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান,রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ঘটনা নতুন নয়। এ ধরনের ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে।
পূর্বকোণ / আরআর-মানিক