চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

ফাইল ছবি

সিনহা হত্যা: ১৫ দিনের রিমান্ডেও মুখ খুলেনি প্রদীপ

কক্সবাজার সংবাদদাতা

১ সেপ্টেম্বর, ২০২০ | ৬:০০ অপরাহ্ণ

কক্সবাজারে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় টেকনাফের বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ পনের দিনের রিমান্ডেও মুখ খুলেনি। পনের দিনেও সিনহা হত্যায় নিজের দায় স্বীকার না করায় আর টানা রিমান্ড আবেদনের সুযোগ না থাকায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (১ সেপ্টম্বর) বেলা ৪টার দিকে র‌্যাবের একটি দল তাকে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (টেকনাফ-৩) আদালতে হস্তান্তর করেছেন। এর আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য প্রদীপকে জেলা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র‌্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) খায়রুল ইসলাম সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ১৫ দিনের রিমান্ডেও সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ঘটনা নিয়ে স্বীকারোক্তি দেয়নি। টানা ১৫ দিনের পর আর রিমান্ড চাওয়ার আইনগত সুযোগ নেই। তাই নিয়ম মতে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। পরবর্তীতে আবার রিমান্ড চাওয়া হবে।

গত শুক্রবার (২৮ আগস্ট) একই আদালতে প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক (বরখাস্ত) লিয়াকত আলী, এসআই নন্দদুলাল রক্ষিতের তৃতীয় দফায় ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। তবে লিয়াকত ও নন্দদুলাল ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। কিন্তু ওসি প্রদীপ স্বীকারোক্তি না দেয়ায় তাকে সোমবার ৪র্থবারের মতো একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। চতুর্থ দফায়ও স্বীকারোক্তি দেয়নি প্রদীপ কুমার দাশ।

অন্যদিকে এই মামলায় গ্রেপ্তার এপিবিএন এর তিন সদস্যও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। কিন্তু স্বীকারোক্তি না দেয়ায় পুলিশের মামলার সাক্ষী তিনজনকে আজ মঙ্গলবার চতুর্থ দফায় আরো তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। তিনি মারিশবুনিয়ার একটি পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ির নীলিমা রিসোর্টে ফিরছিলেন। এ সময় তার সাথে থাকা ক্যামেরাম্যান সাহেদুল ইসলাম সিফাতকে আটক করে পুলিশ। পরে নীলিমা রিসোর্ট থেকে শিপ্রা দেবনাথকে আটক করা হয়। দুজনই এখন জামিনে মুক্ত। খুনের ঘটনায় গত ৫ আগস্ট কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা করেন সিনহা মো. রাশেদ খানের বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস। এতে ৯ জনকে আসামি করা হয়। এরপর সাত অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে তাদেরকে বরখাস্ত করা হয়। মামলায় মোট আসামির সংখ্যা ১৩ জন। সিনহা হত্যার পর পুলিশের করা মামলার তিন সাক্ষীকে গ্রেপ্তার করে মামলার তদন্ত সংস্থা র‌্যাব। এছাড়া হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে আরও তিন এপিবিএন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট