নগরীর প্রবর্তক মোড়ের বিসমিল্লাহ্ স্টোরকে পোকাযুক্ত ডাল মোড়কজাত করে বিক্রয়ের দায়ে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম কর্তৃক আজ বুধবার (০৮ জুলাই) অভিযানে ১১ প্রতিষ্ঠানকে ৭৮ হাজার ৫শ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অভিযান পরিচালনাকালে মেয়াদ উত্তীর্ণ চকলেট, সমুচা, পোকাযুক্ত ডাল, মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ ধ্বংস করা হয়।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সহায়তায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয় এর উপপরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ, সহকারী পরিচালক নাসরিন আক্তার, সহকারী পরিচালক (মেট্রো) পাপীয়া সুলতানা লীজা এবং চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান অভিযান পরিচালনা করেন।
মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান পূর্বকোণকে বলেন, চকবাজার থানার কেয়ারি ইলিশিয়াম শপিং সেন্টারের আল রাফি টুরস এন্ড ট্রাভেলস নামক প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা ব্যবহার করে এস এম জনি নামের একজন অনলাইনে ১২৫ টাকার স্যাভলন ২২০ টাকা দরে বিক্রয় করছিলেন। বেশি দামে স্যাভলন বিক্রয় করায় তাঁকে ১৫ হাজার জরিমানা করা হয়।
পাঁচলাইশ থানা মোড়ের লোটাস মেডিসিন শপকে বিপুল পরিমান মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ রাখায় ২০ হাজার জরিমানা করা হয়। ও আর নিজাম রোডের ডে টু ডে সুপারশপকে মেয়াদ উত্তীর্ণ খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণ করায় ৪ হাজার জরিমানা করে সতর্ক করা হয়। ওমেন কলেজ মোড়ের কাজী ফার্মেসিকে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ সংরক্ষণ করায় ৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই এলাকার মেসার্স আলী ফার্মেসিকে জনৈক ভোক্তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১শ টাকার ওষুধ ৩শ টাকায় বিক্রয় করায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে সতর্ক করা হয়। অপর অভিযোগের প্রেক্ষিতে আল আমিন লাইব্রেরিকে প্রতিশ্রুত বই সরবরাহ না করায় ১ হাজার ৫শ টাকা জরিমানা করা হয়। ওমেন কলেজ মোড় বাজারে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় তাহের সওদাগরের গোস্তের দোকানকে ১ হাজার ও কামাল পোলট্রি এন্ড সেলস সেন্টারকে ১ হাজার জরিমানা করে সতর্ক করা হয়।
বন্দর থানার তসলিম ড্রাগ হাউজকে মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রয়ের জন্য সংরক্ষণ করায় ৫ হাজার জরিমানা করা হয়। ডবলমুরিং থানার ফুড ফেয়ারকে মেয়াদ, মূল্য বিহীন জন্মদিনের কেক বিক্রয়ের জন্য সংরক্ষণ করায় ৫ হাজার জরিমানা করে সতর্ক করা হয়।
জনস্বার্থে এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান।
পূর্বকোণ / আরআর