চারদিকেই ভেজাল খাবার। নিস্তার নেই ফলমূলেও। প্রতিটি নিঃশ্বাসও যেন কেমিক্যাল আর ফরমালিনযুক্ত। একটু তাজা ফল খেতে ইচ্ছে করলেও সন্দেহের জন্য খাওয়ার সুযোগ নেই।
সুস্বাদু মিষ্টি আম খেতে কার না ইচ্ছে হয়। কিন্তু সে আম যদি হয় সম্পূর্ণ কেমিক্যাল আর ফরমালিনমুক্ত, তাহলেতো কথাই নেই। অনেকেই আম খান, কিন্তু আমের প্রকৃত নামেই জানেন না। আবার অনেকেই নাম জানলেও দেখতে কেমন সেটাও জানেন না। ফলে আম বিক্রেতা যা ধরিয়ে দেয়, তা নিয়ে বাড়ি ফেরেন।
তবে এর পুরো ব্যতিক্রম ‘কৃষক বাজার’। যেখানে নেই ফরমালিন কিংবা কেমিক্যাল। বিষাক্ত এসব কেমিক্যাল মিশ্রণ ছাড়াই সরাসরি নিজস্ব বাগান থেকে সংগ্রহকৃত আমসহ বিভিন্ন ফলমূল- সবজি পৌঁছে দিচ্ছে ভোক্তাদের কাছে। তাইতো ব্যাপক চাহিদাও বেড়েছে ‘কৃষক বাজার’র।
‘কৃষক বাজার’ নাম শুনে মনে হতে পারে কোন একটি হাট। কিন্তু না। বলছি চট্টগ্রাম নগরীর দুই নম্বর গেট–বাদশা মিয়া রোডের আফমি প্লাজার বিপরীতে বিভিন্ন জাতের ফলমূল নিয়ে সাজানো বিক্রয় কেন্দ্র ‘কৃষক বাজার’র কথা। যেখানে পার্বত্য জেলাগুলোর পাহাড়ে নিজস্ব বাগান থেকে সংগ্রহকৃত আম, কাঁঠালসহ বিক্রি করা হয় দেশি সব ধরণের ফল ও সবজি।
কৃষক বাজারের অন্যতম উদ্যোক্তা ও নিজামপুর এগ্রো প্রোডাক্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলহাজ মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন পূর্বকোণকে বলেন, ‘বান্দরবানের লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নে তাদের নিজস্ব বাগান রয়েছে। বাগানে আম্রপালি, হিমসাগর, মল্লিকা, পনিয়া, থাই কাঁচামিঠাসহ নানান জাতের আম রয়েছে। বাগান থেকে এসব আম সরাসরি সংগ্রহ করে কৃষক বাজারসহ নগরীর পাঁচটি সেলস সেন্টারের ম্যাধমে বিক্রি করা হয়। তবে বাগানে আম্রপালির সংখ্যাই বেশি। এছাড়া দেশের বিভিন্নস্থান থেকে সংগ্রহকৃত সুস্বাদু আমও বিক্রি করা হয়। সবধরণের আম বিষমুক্ত এবং দামও ক্রেতার সাধ্যের মধ্যে।
কামাল উদ্দিন জানান, মৌসুমী ফলের পাশাপাশি সারা বছরই কৃষক বাজার-এ পাওয়া যায় বিষমুক্ত(অর্গানিক) নানা ধরণের সবজি।
পূর্বকোণ/ রাজু- এস