চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

করোনাকালীন দৈনিক বাড়তি খরচ ৮ কোটি লিটার পানি
করোনাকালীন দৈনিক বাড়তি খরচ ৮ কোটি লিটার পানি

ওয়াসার পানির অতিরিক্ত চাহিদা

করোনাকালীন দৈনিক বাড়তি খরচ ৮ কোটি লিটার পানি

মোহাম্মদ আলী

২৮ জুন, ২০২০ | ৫:০২ অপরাহ্ণ

করোনাকালীন সময়ে নগরীতে দৈনিক ৮ কোটি লিটার অতিরিক্ত পানির ব্যবহার বেড়েছে। বারবার হাতধোয়া, গোসল এবং কাপড়ধোয়া বেড়ে যাওয়ায় চট্টগ্রাম ওয়াসার আবাসিক গ্রাহকদের পানির এই চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে।

বাড়তি চাহিদা মেটাতে গভীর নলকূপের মাধ্যমে প্রায় দেড় কোটি লিটার পানির উৎপাদন বাড়িয়েছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। এছাড়াও বর্ষা মওসুমের কারণে পানির চাপ কিছুটা কমায় পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক রয়েছে বলে দাবি করেছে ওয়াসার সূত্র। তারপরও কিছু কিছু এলাকায় রেশনিং করে পানি সরবরাহ দিচ্ছে ওয়াসা।

এ প্রসঙ্গে ওয়াসার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম দৈনিক পুর্বকোণকে বলেন, ‘করোনার কারণে মানুষের মধ্যে হাত ধোয়া, গোসল এবং কাপড়ধোয়া বেড়ে গেছে। এর ফলে ওয়াসার পানি দৈনিক প্রায় ৮ কোটি লিটার চাহিদা বেড়ে গেছে। এ চাহিদা মেটাতে ওয়াসাকে উৎপাদন বাড়াতে হয়েছে। তাছাড়া বর্ষা মওসুম হওয়ায় চাপ কিছুটা কমলেও পরিস্থিতি সামাল দিতে রেশনিং পদ্ধতিতে পানি সরবরাহ দেওয়া হচ্ছে।’

চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী একেএম ফজলুল্লাহ দৈনিক পূর্বকোণকে বলেন, করোনা থেকে রক্ষা পেতে স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ি অবশ্যই আমাদের বারবার হাতধোয়া ও গোসল করতে হবে এবং কাপড়ও ধুতে হবে। এ ক্ষেত্রে আমাদের পানি ব্যবহারেও      যত্নবান হতে হবে।’

তিনি বলেন,  ‘পানি ব্যবহারে একটু সতর্ক হলে অতিরিক্ত চাহিদা বাড়ত না। হাতধোয়ার সময় প্রতিটা ব্যক্তি নির্ধারিত ২০ সেকেন্ডেরও বেশি সময় ধরে পানির কল খোলা রেখে সাবান ব্যবহার এবং কাপড়চোপড় ধৌত করেন। আমরা পরীক্ষা করে দেখেছি সাবান ব্যবহারের সময় কল খুলে রাখলে ৫ লিটার পানি হাত ধোয়াতেই অপচয় হয়। অথচ অপচয় না করলে ২ লিটার পানি দিয়ে হাতধোয়া সম্ভব। আর কাপড় ধোয়ার সময় কল খুলে রাখলে আরও কয়েকগুণ পানি নালায় চলে যায়। তাই নগরবাসীর কাছে পানি ব্যবহারে আরও যতœবান ও সাশ্রয়ী হওয়ার অনুরোধ করছি। পানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হলে পানির অতিরিক্ত ব্যবহারের পরিমাণ অনেকাংশে কমে আসবে। ফলে নগরবাসী তাদের চাহিদা মতো পানি পাবেন।’

প্রসঙ্গত. চট্টগ্রাম নগরীতে বর্তমানে পানির চাহিদা ৪২ কোটি লিটার। তার বিপরীতে স্বাভাবিক সরবরাহ ৩৬ কোটি লিটার। ব্যবহার অতিরিক্ত হওয়ার পর থেকে গভীর নলকূল দিয়ে বাড়তি প্রায় দেড় কোটি লিটার পানি উত্তোলন হচ্ছে।

চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মো. মাকসুদ আলম জানান, ‘৬৭ হাজার আবাসিক সংযোগেই মূলতঃ পানির অতিরিক্ত ব্যবহার বেড়েছে। নগরবাসী অপচয় না করলে অতিরিক্ত পানির প্রয়োজন পড়বে না। এ কারণে আমরা অনুরোধ জানাচ্ছি পানির অপচয় না করতে।’

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট