চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

মহেশখালীতে ১৩টি গরু ডাকাতি, আতঙ্কে কৃষক ও খামারিরা

মহেশখালী সংবাদদাতা

২৬ জুন, ২০২০ | ৩:১৫ অপরাহ্ণ

করোনাকালে ও থেমে নেই অপরাধ। কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের নিতিয়ারছড়া নামক স্থানে অস্ত্রধারীরা খামারের কর্মচারিদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি ও মারধর করে ১৩ টি গরু লুট করে নিয়ে গেছে স্বশস্ত্র ডাকাত দল। যার বাজার মূল্য আনুমানিক ১২ লক্ষ টাকার মত হবে বলে জানিয়েছেন গরু মালিক।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) দিবাগত রাত তিনটায় সময় উপজেলার বড় মহেশখালীর বাসিন্দা দাপটু শ্রমিক নেতা হাবিব উল্লাহর খামার বাড়িতে গরু ডাকাতির এ ঘটনা ঘটে।

পার্শ্ববর্তী মুদিরছড়া নদীতে মাছ ধরতে যাওয়া জেলেরা জানান, অস্ত্রধারী ডাকাত দল নৌকা নিয়ে নদীপথে এসে গরু নিয়ে নদী পথ বেয়ে চলে যাওয়ার সময় আমাদের মারধরও করেছে। জেলেরা আরও জানান, অস্ত্রধারীরা নাপিতখালি ঢুকার খাল দিয়ে ২ টি নৌকা নিয়ে গরুগুলো নিয়ে যায়।

জানা গেছে,আগের সপ্তাহে উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় কয়েকটি বাড়িতে ডাকাতদল অস্ত্রের মুখে গরু লুট করে নিয়ে যায়। পরে গরু গুলি জবাই করে ভূরিভোজ করে পাহাড়ে আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠে সক্রিয় ডাকাত দল।

এদিকে করোনা পরিস্থিতির এই লকডাউনেও একের পর এক গরু ডাকাতির ঘটনায় পুরো মহেশখালী দ্বীপে বিরাজ করছে আতঙ্ক। গরু একসময় চুরি হলেও ইদানিং ডাকাতি বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন কৃষক ও খামারিরা। ডাকাতি ঠেকাতে অনেক এলাকায় রাত জেগে খামার ও গোয়ালঘর পাহারা দেয়া হচ্ছে।

খামারিরা জানান, গ্রাম-মহল্লায় কিছুদিন ধরে ব্যাপকহারে গরু ডাকাতি হচ্ছে। কোরবানি ঈদ সামনে রেখে ডাকাত দল প্রায়ই রাতে কোনো না কোনো বাড়ি ও খামার বাড়ীতে হানা দিচ্ছে।

১৩ টি গরু ডাকাতি হওয়া খামারবাড়ির মালিক হাবীব উল্লাহ জানিয়েছেন, কোন হ্নদয়বান ব্যক্তি গরুগুলোর সন্ধান দিতে পারলে উপযুক্ত সম্মানি দেওয়া হবে এবং সন্ধানদাতার পরিচয় গোপন রাখা হবে।

এ বিষয়ে মহেশখালী থানার ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধরের নেতৃত্বে গরুচোরদের গরু চুরি ও ডাকাতি ঠেকাতে উপজেলায় রাতে পুলিশি টহল জোরদারের দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।

মহেশখালী থানার ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধর পূর্বকোণকে বলেন, গরু চুরি বা ডাকাতি হয়েছে বলে কেউ অভিযোগ করেনি। তবে সব ধরণের অপরাধ ঠেকাতে উপজেলায় পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট