চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

রোজার আগেই বাজারে আগুন

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৯ এপ্রিল, ২০২০ | ১০:১৯ অপরাহ্ণ

 

আর সপ্তাহখানেক পরেই শুরু হচ্ছে পবিত্র রমজান মাস। প্রতি বছরের মতো এবারও বেড়ে গেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। যার মধ্যে রয়েছে চাল, ডাল, পেঁয়াজ, তেল, চিড়াসহ সব ধরনের ভোগ্যপণ্য। তবে একেবারে আকাশছোঁয়া দাম বেড়েছে কয়েকটি পণ্যের। বিশেষ করে অস্বাভাবিক হারে দাম বেড়েছে ছোলা, খেজুর, চিড়া এবং মসুর ডালের। ফলে সীমিত আয়ের মানুষেরা পড়েছেন বিপাকে। পণ্যের এমন আকাশছোঁয়া দামের মধ্যে খানিকটা স্বস্তি কাঁচাবাজারের পণ্যগুলোতে।

আজ রবিবার (১৯ এপ্রিল) বক্সিরহাট, কাজির দেউড়ি, রিয়াজউদ্দিন বাজার, খাতুনগঞ্জসহ নগরীর বাজারগুলো ঘুরে দেখা গেছে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি বস্তায় চালের দাম বেড়েছে ২শ’ থেকে ৩শ’ টাকা। ময়দার দাম ৫ থেকে ৭ টাকা বেড়ে প্যাকেটপ্রতি হয়েছে ৩৫ থেকে ৩৭ টাকা। রসুন কেজি প্রতি ১২০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। ছোলা কেজিপ্রতি ৬৫ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। শুকনো মরিচ বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ২৪০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা। সয়াবিন তেল লিটার প্রতি ৯৫ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১১০ টাকা, পাম তেল কেজিপ্রতি ৬৫ থেকে বেড়ে হয়েছে ৭৫ টাকা। সাদা চিনি কেজি প্রতি ৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর লাল চিনি ৭০ থেকে বেড়ে হয়েছে ৭৫ টাকা। ইন্ডিয়ান গুঁড়া হলুদ বিক্রি করছে ১২৫ থেকে বাড়িয়ে ১৫৫ টাকা এবং ১০০ টাকার দেশি হলুদ বিক্রি করছে ১১০ টাকা। কেজিপ্রতি আলুর দাম ১৬ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ২০ টাকা।

তবে লাগামহীনভাবে বেড়েছে আদা, পেঁয়াজ, খেজুর, চিড়া এবং মসুরের ডালের দাম। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে আদার দাম ১৫০ টাকা থেকে লাফিয়ে বেড়েছে ২৫০ টাকায়। কেজিপ্রতি ৩৫ টাকার পেঁয়াজ এখন ৬৫ থেকে ৭০ টাকা। বিভিন্ন ধরনের খেজুরের দাম প্রতি কেজিতে বেড়েছে ১শ’ থেকে ২শ’ টাকা। প্রতি কেঝি চিড়ার দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৫৪ টাকা।

দাম বাড়ার কারণ হিসেবে বিক্রেতারা দোষারোপ করছেন করোনাভাইরাসকে। তাদের মতে, মালামাল আনতে আগের চেয়ে বেশি গাড়ি ভাড়া দিতে হচ্ছে এবং কিনতেও হচ্ছে বেশি দামে। যার প্রভাব ক্রেতাদের মধ্যে পড়ায় কমেছে তাদের আনাগোনা।

তবে দফায় দফায় চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজের দাম বাড়লেও তুলনামূলক কমেছে সবজির দাম। প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৫ টাকা দরে, যা আগে ছিল ১০ টাকা। কেজি প্রতি করলার বিক্রি হচ্ছে ১৩ টাকা যা আগে বিক্রি হতো ২৫ টাকা, কাঁকরোল ৮০ টাকা থেকে কমে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, বরবটি ২৫ টাকা থেকে কমে বিক্রি হচ্ছে ১৭ টাকা, পটল ৩৩ টাকা থেকে কমে ২২ টাকায় কেজি বিক্রি হচ্ছে, লাউ ও মিষ্টি কুমড়া ১৫ টাকা থেকে কমে বিক্রি হচ্ছে ৭ থেকে ৮ টাকায়, লম্বা লতি ৩৫ টাকা থেকে কমে ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে,খাটো লতি ৩০ টাকা থেকে কমে ২২ টাকা, কুমিল্লার মোটা লতি ৩০ টাকা থেকে কমে ২৩ টাকা। লম্বা বেগুন ২০ থেকে কমে হয়েছে ৮ টাকা, দেশি বেগুণ ২০ টাকা থেকে কমে হয়েছে ১০ টাকা এবং শশা ২০ টাকা থেকে কমে ৭ থেকে ১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

 

 

পূর্বকোণ-আরপি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট