চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

নগরীতে লক ডাউনের দৃষ্টান্ত হতে পারে রুমঘাটা আবাসিক

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৭ এপ্রিল, ২০২০ | ৮:০৭ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ২০ নম্বর দেওয়ান বাজার ওয়ার্ডের রুমঘাটা আবাসিক এলাকা হতে পারে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে অনন্য দৃষ্টান্ত। প্রায় হাজার খানেক পরিবারের বসবাস এই আবাসিক এলাকায়। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে স্থানীয় ‘বয়েজ ক্লাব’ নামের একটি সংগঠন গত ২৪ মার্চ আবাসিক এলাকাটিতে প্রবেশের তিনটি পথ বন্ধ করে দেয়। একই সাথে প্রতিটি প্রবেশমুখে দাড়োয়ানের হাতে দেয়া হয় জীবানুনাশক স্প্রে। আবাসিকের ভেতরে নেয়া  হয়েছে হাত ধোঁয়ার ব্যবস্থাসহ ব্যতিক্রমধর্মী পদক্ষেপ।

এ বিষয়ে রুমঘাটা বয়েজ ক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা আমানউল্লা আল ছগীর চুট্টু বলেন, ‘সরকার কর্তৃক সাধারণ ছুটি ঘোষণার পরপরই আমরা নিজেরা মরণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করি। প্রথমতঃ আবাসিকের ভেতরে কত পরিবার আছে, তাদের সদস্য সংখ্যা ও নামের তালিকা করি। যাতে বাইরে থেকে কেউ আসলে তার তথ্য জানতে পারি। আপাতত আবাসিকে জরুরি সেবা ব্যতীত বহিরাগত প্রবেশ বন্ধ করি। প্রবেশমুখে বয়েজ ক্লাবের সদস্যরা তিন-চারজন করে পাহারা দেয়। সকল প্রকার তরিতরকারি, মাছ, মাংসের অস্থায়ী দোকান আবাসিকের ভেতরে স্থায়ী ব্যবস্থা করে দিয়েছি। যাতে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২ টা পযর্ন্ত এগুলো খোলা থাকে। যাতে কাউকে এলাকার বাইরে যেতে না হয়।

তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায় পুরো আবাসিকে জীবাণুনাশক পানি ছিটানো হবে। সপ্তাহে তিন দিন সাথে মশার ওষুধ ছিটানো হয়। সন্ধ্যা ৬টার পর এলাকার মূল গেইট তালা দিয়ে দেয়া হয়। গত মাসের ২৩ তারিখ রুমঘাটা বাই লেইনের গেইটটি হতেই বন্ধ। এলাকায় ঢোকার সময় সকলকেই জীবাণুনাশক স্প্রে করা হয়। এলাকার তিনটি স্থানে হাত ধোঁয়ার জন্য পানির ড্রাম ও সাবান দেয়া হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দোকান থেকে বাজার করতে পারার জন্য প্রতিটি দোকানের সামনে কাস্টমার সার্কেল করে দিয়েছে এবং গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রতিদিন মাইকিং করা হচ্ছে। রুমঘাটা বয়েজ ক্লাবের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে দুই ধাপে মোট ২৫০ নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারকে গোপনে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেয়া হয়েছে। এই কার্যক্রম চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।

দেওয়ান বাজার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী বলেন, রুমঘাটা আবাসিক এলাকা সবচেয়ে সুশৃঙ্খল এলাকা। বয়েজ ক্লাবকে আবাসিকের বাসিন্দারাই সহযোগিতা করছে। আমার পক্ষ থেকে এখানে মশার ওষুধ সরবরাহ করা হয়েছে।  কিছু নিম্নবিত্ত পরিবারকে সহযোগিতা করেছি। তাদের উদ্যোগটা আমার কাছে ভালো লেগেছে।  এভাবে হয়তো তারা করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে শতভাগ সফল হতে পারে।

 

পূর্বকোণ- আরপি/*

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট