চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

করোনার প্রভাব

বেতন নিয়ে দুশ্চিন্তায় চসিক

রাজস্ব আদায় বন্ধ, প্রকট হচ্ছে আর্থিক সংকট

ইফতেখারুল ইসলাম

৮ এপ্রিল, ২০২০ | ২:৫৭ পূর্বাহ্ণ

  • সরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে পাওনাগুলো আদায়ে চেষ্টা চলছে : প্রধান নির্বাহী

করোনাভাইরাসের মহামারীতে চরম আর্থিক সংকটে পড়তে যাচ্ছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। একদিকে রাজস্ব আদায় বন্ধ, অপরদিকে খরচের পরিমাণ বেড়েছে। এনিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় প্রতিষ্ঠানটি। এক্ষেত্রে সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাওনা পরিশোধের আহ্বান জানিয়েছে চসিক কর্তৃপক্ষ।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বেতন ভাতা বাবদ প্রতি মাসে প্রায় ১৮ কোটি টাকা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রদান করা হয়। এমনিতেই আর্থিক সংকটে থাকা এই প্রতিষ্ঠান এতদিন বেতন প্রদান করতো দুই ধাপে। স্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একদিন এবং অস্থায়ীদের একদিন বেতন দেয়া হত। চসিকের মূল আয় গৃহকর, ট্রেড লাইসেন্স প্রদান এবং নবায়ন, ভূমি রেজিস্ট্রেশন বাবদ ১ শতাংশ। এছাড়া দোকান, জমি বিক্রি থেকেও তারা মাঝেমধ্যে আয় করে। তবে আয়ের সবচেয়ে বড় খাত রাজস্ব বিভাগের গৃহকর। এই খাতে প্রতি সপ্তাহে গড়ে প্রায় আড়াই কোটি আয় করে চসিক। কিন্তু বিশ^ব্যাপী করোনা মহামারীর প্রভাব শুরুর সাথে সাথে চসিকের রাজস্ব বিভাগের আয় কমতে থাকে। এখন লকডাউনের কারণে রাজস্ব আয় একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু খরচ কমেনি। নিয়মিত কার্যক্রমের সাথে যোগ হয়েছে করোনার জীবাণু নির্মূলে রাস্তা ধোয়ার কাজ। এছাড়া ডেঙ্গুর মৌসুম শুরু হওয়ার কারণে এই সময়ে সিটি কর্পোরেশনকে নগরীতে পর্যাপ্ত পরিমাণে মশার ওষুধ ছিটাতে হবে। নতুবা নগরীতে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই এই খাতেও মোটা অংকের টাকা খরচ করতে হবে চসিককে।
জানতে চাইলে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা পূর্বকোণকে বলেন, বেতন-ভাতা প্রদানের ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। কারণ এই সময় রাজস্ব আদায় একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে। তবে এই মুহূর্তে সরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে পাওনাগুলো আদায়ের চেষ্টা চলছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো যদি আন্তরিক হয় তাহলে আমরা সেবা এবং বেতন-ভাতা চালিয়ে যেতে পারবো। তিনি বলেন, বিষয়টি মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হবে। মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয় করে সরকারি প্রতিষ্ঠানের গৃহকর বাবদ পাওনাদি পাওয়ার সুযোগ আছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট