চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

চট্টগ্রামে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের ঘটনায় তিন আত্মীয়ের বাড়ি লকডাউন

চন্দনাইশ সংবাদদাতা

৪ এপ্রিল, ২০২০ | ১১:৩৬ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামের প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর তার তিন আত্মীয়ের বসতঘর পটিয়া কমল মুন্সিরহাট এলাকার ফকিরপাড়া প্রবাসী রমিজ আহমদ, চন্দনাইশের জামিজুরি সামশুল আলমের তিন ভাই ও সাতকানিয়া পুরানগর আপর আত্মীয়ের বসতঘর লকডাউন করে দিয়েছেন প্রশাসন।

জানা যায়, গতকাল শুক্রবার নগরীর দামপাড়ার ১ নম্বর গলির বাসিন্দা মুজিবুল হকের (৬৭) শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপরই রাত একটায় উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমতিয়াজ হোসেন, থানা অফিসার ইনচার্জ কেশব চক্রবর্তী, উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শাহিন হাসান চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি দল উপজেলার জামিজুরি আবদুল আলিম ফকিরের বাড়ির সামশুল আলমের বাড়িতে উপস্থিত হন।

এ সময় তারা মুজিবুল হকের আত্মীয়ের বাড়ি নিশ্চিত হয়ে রাতেই তাদের তিন পরিবারের ১৫ সদস্যকে লকডাউন করে বাড়ির সামনে লাল পতাকা টাঙ্গিয়ে দেন। পরে আজ শনিবার (৪ এপ্রিল) সকালে পুনরায় উপজেলার জামিজুরি আবদুল আলিম ফকিরের বাড়ির মরহুম মকবুল আহমদের ছেলে যথাক্রমে সামশুল আলম (৪৫), শাহ্ আলম (৩৭) , আহমদ নবী (৩৫), সামশুল আলমের স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগম (৪৫), ছেলে আলা উদ্দিন (২১), মেয়ে সাইরা আকতার (১৯), রিকু আকতার (১৭), শাহ আলমের স্ত্রী কুলছুমা আকতার (২৫), মেয়ে প্রমি আকতার (১০), প্রেমা আকতার (৮) ছেলে মো. ফরহাদ (৬), ৭ মাসের ছেলে আবির, আহমদ নবীর স্ত্রী সোমা আকতার (২৭), ছেলে রিহান (৬), আড়াই বছরের ছেলে আয়ানকে লকডাউন করে ঘরে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, নগরীর দামপাড়ার মুজিবুল হকের ছেলে ও ছেলের স্ত্রী সৌদি আরব থেকে গত ১২ মার্চ ওমরা হজ পালন করে আসে। গত সপ্তাহে মুজিবুল হক তার ছেলে, পুত্রবধুসহ তাদের আত্মীয়ের বাড়ি সাতকানিয়া পুরানগড়ে দাওয়াত খেতে আসেন। সেখানে কয়েকদিন থাকে। ওই বাড়িতে চন্দনাইশ জামিজুরির সামশুল আলম ও তার অপর দুই ভাইসহ পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্য পুরানগড় আত্মীয়ের বাড়িতে দাওয়াত খেতে যান। পরবর্তীতে মুজিবুল হকের করোনা শনাক্ত হওয়ার পর উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে শুক্রবার দিবাগত গভীররাতে তাদের তিন ভাইয়ের ঘর লকডাউন করে দেয়া হয়।

শনিবার সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, সামশুল হক ও তার অপর দুই ভাই গত ৩ এপ্রিল জামিজুরি শাহ গালিমের জামে মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করেন। এ নামাজে অনেক লোকজন জমায়েত হয় বলে মসজিদের খতিব জানান। ফলে এ এলাকার মানুষ কিছুটা আতঙ্কে রয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে এ তিন পরিবারের ১৫ জন সদস্যকে আগামী ১৪ দিন ধরে লকডাউন অবস্থায় রাখা হবে। তাদের খাদ্য সহযোগিতার ব্যাপারে প্রশাসন সকল প্রকার সহযোগিতা করার পাশাপাশি এ সকল সদস্যরা পুলিশের নজরদারিতে থাকবে। তাছাড়া তাদের এক বোন কুলছুমা আকতার পটিয়া কমল মুন্সিহাট সংলগ্ন ফকিরপাড়ায় চলে যাওয়ায় তাদের বসতঘরও লকডাউন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

 

 

 

 

 

পূর্বকোণ/আরপি-দেলোয়ার

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট