চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

অফিস-ব্যাংকপাড়ায় নেই কর্মচাঞ্চল্য
অফিস-ব্যাংকপাড়ায় নেই কর্মচাঞ্চল্য

অফিস-ব্যাংকপাড়ায় নেই কর্মচাঞ্চল্য

কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি,ওয়াসা, রেলওয়ে,চসিকসহ নগরীর বিভিন্ন ব্যাংকে নেই গ্রাহকের ভিড়

মরিয়ম জাহান মুন্নী, ছবি: মিয়া আলতাফ

২৩ মার্চ, ২০২০ | ৪:২২ অপরাহ্ণ

সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকে কর্মকর্তা-কর্মচারীর উপস্থিতি থাকলেও নেই কর্মচাঞ্চল্য। করোনাভাইরাসের প্রভাব পড়েছে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে। সরকারি প্রতিষ্ঠান ওয়াসা, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি, রেলওয়ে, সিটি কর্পোরেশনসহ নগরীর বিভিন্ন ব্যাংকে আগের মত নেই গ্রাহকের ভিড়। তবে এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিয়মিত করছেন অফিস। প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, সরকারি নির্দেশ না আসা পর্যন্ত চলবে কাজ। প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তাদের অলস সময় পার করতেও দেখা যায়। নগরীর চকবাজার এলাকার বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে হাতেগোনা কয়েকজন গ্রাহকের উপস্থিতি ছিল মাত্র। তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল দিতে হবে। না দিলে জরিমানা আসবে। এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজেই তারা আসেন ব্যাংকে। ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, মানুষের ভিড় নেই। তবে আমরা নিয়মিত অফিস করছি। তেমনি সেবামূলক সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতেও গ্রাহকের উপস্থিতি ছিল কম। বিভিন্ন সরকারি অফিস পরিদর্শনে দেখা যায়, প্রবেশ করতেই নিরাপত্তা কর্মীরা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত জিবাণুমুক্ত করছেন। থার্মাস স্ক্যানার দিয়ে শরীরের তাপমাত্রা মেপে অনুমতি দিচ্ছে ভেতরে প্রবেশের। অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যথারীতি উপস্থিত ছিলেন।

চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ কে এম ফজুলুল্লাহ দৈনিক পূর্বকোণকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস আতঙ্ক থাকলেও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। যেহেতু আমরা নগরীতে পানি সরবরাহ করি, সেহেতু আমাদের অনুপস্থিত থাকা চলবে না। সে কারণে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যতসম্ভব সুরক্ষা দিতে মাস্ক বিতরণ, অফিসে হাত ধোয়ার জন্য সাবান ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারের ব্যবস্থা করছি। একই সাথে করোনাভাইরাস সম্পর্কে সচেতন করতে গ্রাহকদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে’।

উপ-সচিব মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন (অ.দা) বলেন, ‘আমরা সবাই অফিসে আসছি। তবে কোনো কর্মকর্তা যদি সাধারণ অসুস্থও হয় তাকে অফিসে জানিয়ে না আসার নির্দেশ রয়েছে’।

একই চিত্র দেখা যায় নগরীর টাইগারপাস এলাকায় অবস্থিত সিটি কর্পোরেশনের অফিস, সিআরবির রেলওয়ে ও ২ নম্বর গেট কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির। এই অফিসগুলোতেও গেট দিয়ে প্রবেশ করতে মানা হচ্ছে একই নিয়ম। থার্মার স্ক্যানার দিয়ে মাপা হচ্ছে শরীরের তাপমাত্রা। হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে করা হচ্ছে হাত জীবাণু মুক্ত। প্রতিটি অফিসে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি থাকলেও নেই গ্রাহকের ভিড়। তবে অফিসে প্রবেশ করে উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য ফিঙ্গার দেয়ার বিষয়টি সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে এসব প্রতিষ্ঠানে। সিটি কর্পোরেশনের অফিসে বেশ কয়েকজন গ্রাহকের উপস্থিতি দেখা যায়। তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গুরুত্বপূর্ণ কাজ হওয়ায় আসতে হয়েছে। আজকে আসার জন্য আগেই ডেট পড়েছে। তাই না এসে উপায় ছিল না। তবে আতঙ্ক কাজ করছে গ্রাহক ও কর্মকর্তাদের মধ্যে। মাস্ক ছিল প্রতিটি গ্রাহক ও কর্মকর্তাদের মুখে।

রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল সদর দপ্তরের উপ-পরিচালক জনসংযোগ কর্মকর্তা (পূর্ব) তৌষিয়া আহমেদ বলেন, ‘রেলওয়ের অফিস কার্যক্রম আগের মতই চলছে। তবে নিজেদের সুস্থতার জন্য সাবান, স্যানিটাইজার ও মাস্ক ব্যবহার করে সতর্কতা অবলম্বন করছে কর্মকর্তারা’।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট