চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

কতটুকু প্রস্তুত চট্টগ্রাম?
কতটুকু প্রস্তুত চট্টগ্রাম?

কতটুকু প্রস্তুত চট্টগ্রাম?

করোনাভাইরাস মোকাবেলা ­, পর্যবেক্ষণে আছেন আরো ২ জন ­, নেই পরীক্ষা নিরীক্ষার যন্ত্রপাতি ­, সমুদ্র ও বিমান বন্দরের থার্মাল স্ক্যানার নষ্ট ­, উপজেলার সরকারি হাসপাতালে পৃথক শয্যা প্রস্তুত, ­ নেই চিকিৎসা প্রদানের মতো ডাক্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক

৯ মার্চ, ২০২০ | ৩:২৫ পূর্বাহ্ণ

শেষ পর্যন্ত প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের ছোবল থেকে রক্ষা পেল না বাংলাদেশ। গতকাল রবিবার এ ভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত তিনজন রোগী শনাক্ত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এছাড়া পর্যবেক্ষণে আছেন আরও দু’জন। তবে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামে আক্রান্তের খবর পাওয়া না গেলেও ভাইরাস মোকাবেলায় কিংবা চিকিৎসায় নেই পর্যাপ্ত ব্যবস্থাপনা।
যদিও স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে বরাবরের মতোই বলা হচ্ছে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে তাদের রয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতির কথা। কিন্তু প্রাথমিকভাবে ভাইরাস নির্ণয়েরও নেই পরীক্ষা নিরীক্ষার কোন যন্ত্রপাতি। এছাড়া দেশের সর্ববৃহৎ সমুদ্র বন্দরটিতেও এ ভাইরাস মোকাবেলায় এখন পর্যন্ত স্থাপন হয়নি থার্মাল স্ক্যানারটিও। দীর্ঘদিন থেকে এটি নষ্ট থাকলেও নতুন করে এটি সংযোজনের ব্যবস্থা এখনো নেওয়া হয়নি।
শুধু তাই নয়, আগ থেকে সরকারি হাসপাতালে কিছু শয্যা প্রস্তুতি করলেও চিকিৎসা দেওয়ার মতো নেই কোন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। এরমধ্যে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে থাকা একমাত্র থার্মাল স্ক্যানারটিও দীর্ঘদিন থেকে নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। প্রায় সাত মাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত এটি স্থাপনের উদ্যোগও নেয়নি কর্তৃপক্ষ। যদিও বিকল্প হিসেবে হ্যান্ড থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে মেডিকেল টিম। কিন্তু তাও শুধুমাত্র কাগজে কলমে। গতকাল রবিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে আসা যাত্রীরা কোন পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই অনায়াসে প্রবেশ করছেন বিমানবন্দরের ভেতর। যে যার মতো করেই প্রবেশ-প্রস্থান করছেন। স্বাস্থ্য বিভাগের একটি মেডিকেল টিম সেখানে অবস্থান করলেও তাদের কার্যক্রম চোখেই পড়েনি। এরমধ্যে কয়েকজন বিদেশি নাগরিকও পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই বিনা বাধায় বেরিয়ে যেতে দেখা যায়। যদিও বিমানবন্দরের ভেতর ভাইরাসের প্রতিরোধসহ নানান সচেতন বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। তবে অবাধ প্রবেশ-প্রস্থানে অনেকটাই ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে বলে মনে করেন স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে, গতকাল রবিবার তিনজন শনাক্ত হওয়ার পর চট্টগ্রামের প্রতিটি উপজেলাসহ সরকারি হাসপাতালে পৃথক শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া বড় কোন আঘাতে নগরীর দু’টি স্কুল পৃথকভাবে প্রস্তুতির জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি। তিনি পূর্বকোণকে বলেন, এর বাইরে নগরীর প্রতিটি বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে ইতোপূর্বে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাদের হাসপাতালগুলোতেও যেন পৃথক আইসোলেশন ইউনিট প্রস্তুত করা হয়। আমাদের স্বাস্থ্য বিভাগ পুরোদমে প্রস্তুতি নিয়েছে।
উল্লেখ: প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে শেষ খবর পর্যন্ত বিশে^র শতাধিক দেশ ও অঞ্চলের ১ লাখ সাড়ে ৭ হাজারেরও বেশি মানুষ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ৩ হাজার ছয়শ ৫২ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ৬১ হাজারের মতো মানুষ।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট