চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

বছরের প্রথম মাসেই ২২৪০ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ | ১০:৫৭ অপরাহ্ণ

জানুয়ারিতে সঞ্চয়পত্র নিট বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ২৪০ কোটি টাকা। ডিসেম্বরে সঞ্চয়পত্রের নিট বিক্রি ছিল ঋণাত্মক ৪০৮ কোটি ও নভেম্বরে ৩২০ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) সঞ্চয়পত্রের নিট বিক্রি দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৬৭৩ কোটি টাকা, যা পুরো অর্থবছরের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ২৯ শতাংশ। জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের হালনাগাদ প্রতিবেদন পর্যালোচনায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বাধ্যতামূলক, মুনাফায় উৎসে কর বৃদ্ধি এবং অপ্রদর্শিত অর্থে ক্রয় প্রতিরোধ করাসহ নানা কড়াকড়ি আরোপে সঞ্চয়পত্র  থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে মানুষ। এতে প্রতি মাসেই কমছে বিক্রি।

বর্তমানে ৫ লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্রের সুদে উৎসে কর ৫ শতাংশের পরিবর্তে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। ১ লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র কিনতে টিআইএন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সঞ্চয়পত্রের সব লেনদেন ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে করতে হচ্ছে ক্রেতাদের। দুর্নীতি কিংবা অপ্রদর্শিত আয়ে সঞ্চয়পত্র কেনা বন্ধ করতে ক্রেতার তথ্য একটি ডাটাবেজে সংরক্ষণের লক্ষ্যে অভিন্ন সফটওয়্যারের মাধ্যমে বিক্রি কার্যক্রম শুরু করেছে। এ ছাড়া সঞ্চয়পত্রে বড় বিনিয়োগে কঠোর হয়েছে সরকার। চাইলেই ভবিষ্যৎ তহবিল বা প্রভিডেন্ড ফান্ডের অর্থে সঞ্চয়পত্র কেনার সুযোগ নেই। এখন প্রভিডেন্ড ফান্ডের অর্থ দিয়ে সঞ্চয়পত্র কিনতে হলে কর কমিশনারের প্রত্যয়ন লাগে।

চলতি অর্থবছর সঞ্চয়পত্র থেকে ২৭ হাজার কোটি টাকা ঋণ  নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে সরকার। কিন্তু নিয়ম-কানুনে কড়াকড়িতে অর্থবছরের প্রতি মাসেই সঞ্চয়পত্র বিক্রি কমেছে।  যেমন গত অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে নিট সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছিল প্রায় ৫ হাজার ৩৬ কোটি টাকা। কিন্তু চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসে বিক্রি হয় ২ হাজার ১৬০ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র। গত অর্থবছরের আগস্টে বিক্রি হয়েছিল ৪ হাজার ২১ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র। চলতি অর্থবছরের আগস্টে বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৪৯৯  কোটি টাকার।

বাজেট ঘাটতি পূরণে সরকার ২০১৮-১৯ অর্থবছর সঞ্চয়পত্র  থেকে যে পরিমাণ অর্থ নেওয়ার লক্ষ্য ধরেছিল, তার চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ ঋণ নিয়েছিল। অস্বাভাবিক বিক্রি বাড়তে থাকায় সংশোধিত বাজেটে লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে ৪৫ হাজার কোটি টাকা ঠিক করা হয়। কিন্তু অর্থবছর শেষে নিট বিক্রি দাঁড়িয়েছে ৪৯ হাজার ৯৩৯ কোটি টাকা। এর আগে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৪৪ হাজার কোটি টাকা সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে বিক্রি হয় ৪৬ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা।

 

 

পূর্বকোণ/আরপি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট