চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

চান্দগাঁওয়ের দুঃখ আরাকান সড়ক

ওয়ার্ড নম্বরঃ ০৪ প্রধান সমস্যাঃ জলাবদ্ধতা, ও আরাকান সড়ক আয়তন: ১৩ বর্গ কিলোমিটার জনসংখ্যাঃ ৪ লাখ ৯০ হাজার ভোটারঃ ৭৪ হাজার ৮০৯ জন

আল-আমিন সিকদার

১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ | ৪:৪৬ পূর্বাহ্ণ

স্বাধীন বাংলার জন্মের ইতিহাস যে বেতার কেন্দ্রের সাথে জড়িয়ে আছে সেটি কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র। যার অবস্থান চট্টগ্রাম নগরীর ৪ নম্বর চান্দগাঁও ওয়ার্ডে। এই বেতার কেন্দ্র থেকেই ঘোষণা দেয়া হয়েছিল স্বাধীনতার।
একটি সার্বভৌম দেশের জন্মের ইতিহাস বিজড়িত ঐতিহ্যবাহী আলোচ্য স্থাপনা নিজেদের ওয়ার্ডে হওয়ায় নিজেদের সৌভাগ্যবান মনে করেন এই এলাকার বাসিন্দারা।

শুধু তাই নয়, স্বাধীনতার এই ঐতিহাসিক স্থাপনাকে ঘিরে এখানে গড়ে ওঠেছে স্বাধীনতা কমপ্লেক্স। যেখানে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বাংলাদেশের নানা ঐতিহাসিক ও নান্দনিক স্থাপনাকে। চট্টগ্রাম শহরের বাসিন্দাদের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ভ্রমণ পিপাসুরা এখানে প্রতিনিয়ত ভিড় জমান। দুঃখের বিষয় হলো, ইতিহাস আর ঐতিহ্যের ধারক এই ওয়ার্ডের মানুষ বঞ্চিত নানান নাগরিক সুযোগ-সুবিধা থেকে।

শুধু কি তাই, চান্দগাঁওবাসীর কাছে দুঃখের অপর নাম আরাকান সড়ক। সেবা সংস্থাগুলোর খোঁড়াখুঁড়ি আর সমন্বয়হীনতার কারণে গত ৪ বছর ধরে অবহেলায় পড়ে রয়েছে সড়কটি। সংস্কার কাজ চলছে তো চলছেই। কিন্তু কাজ সম্পন্ন হচ্ছে না। তাইতো কালুরঘাট থেকে বহদ্দারহাট আসার সড়কটি বন্ধ রয়েছে বছরের পর বছর।

এদিকে, সড়কের এক পাশ বন্ধ থাকায় অন্যপাশ দিয়ে উভয়মুখী গাড়িগুলোকে চলাচল করতে হচ্ছে। সরু সড়কের দুই দিক থেকে গাড়ি চলাচল করায় প্রায়শঃ এখানে ঘটে দুর্ঘটনা। প্রাণ হারাতে হয় পথচারীদের।
এই ওয়ার্ডের সমস্যা শুধু এই আরাকান সড়কই নয়। কর্ণফুলী নদীর জোয়ারের পানি এই এলাকার মানুষের কাছে দুঃখের আরেক নাম। বর্ষা মৌসুমে সহজেই জলমগ্ন হয়ে পড়ায় এলাকার বাসিন্দারা আকাশে মেঘ দেখলেই ভয় পায়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা নিয়ে সিটি কর্পোরেশন আর সিডিএ’র ঠেলাঠেলির কারণে জলে ভাসতে হচ্ছে তাদের। এছাড়াও এলাকায় কিশোর গ্যাং এর উৎপাত নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা। পাশাপাশি আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর অবহেলা ও এলাকায় মাদকের বিস্তার ও সন্ত্রাসীদের কার্যকলাপের কথাও তুলে ধরেছেন তারা। পাশাপাশি তরুণরা জানিয়েছেন খেলার মাঠ সংকটের কথা।

চান্দগাঁওবাসীর অভিযোগ, প্রত্যাশা আর ওয়ার্ডের উন্নয়ন সম্পর্কে জানতে চাইলে কাউন্সিলর মো. সাইফুদ্দিন খালেদ বলেন, ‘একশটিরও বেশি রাস্তা করেছি এলাকায়। ওয়ার্ডের উন্নয়নে ২শ কোটি টাকার বরাদ্দ পেয়েছি। জলাবদ্ধতার সমাধান করেছি। এখন আর রাস্তায় পানি উঠে না।’
জলাবদ্ধতা সমস্যার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করছে সিডিএ। সিডিএ’র হয়ে প্রতিটি খাল খনন করছে সেনাবাহিনী। সিডিএকে আমরা এই ওয়ার্ডের ড্রেনেজ ব্যবস্থার নকশা দিয়েছি। তাদের কাজ শেষ হলে আর জলাবদ্ধতা থাকবে না।’
আরাকান সড়ক সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আরকান সড়কের সংস্কার কাজ শেষ না হওয়ার প্রধান কারণ বিভিন্ন সংস্থার খোঁড়াখুঁড়ি। আরাকান সড়কের সংস্কারের জন্য ৭১ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। ১২ ভাগে চলছে সংস্কার। তবে সমন্বয়হীনতা আর খোঁড়াখুঁড়ির জন্য কাজ শেষ হয়নি। আমরা অবশ্য ইতিমধ্যে আবারো কাজ শুরু করেছি। বেশ কয়েকটি স্থানে কার্পেটিং বসানো শেষ। আশা করছি, এই সমস্যা খুব দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগামীতে জয়লাভ করলে চান্দগাঁও বাস টার্মিনালের পাশে একটি মিনি স্টেডিয়াম করার পরিকল্পনা রয়েছে। পাশাপাশি চান্দগাঁও ওয়ার্ডে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ও এম এ হান্নান এর মুরাল নির্মাণ করব। এছাড়াও চান্দগাঁওকে আধুনিক ও নান্দনিক করে গড়ে তুলব।’
চান্দগাঁও ওয়ার্ডের অন্যান্য সম্ভাব্য প্রার্থীরাও পূর্বকোণ প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনাকালে জানান, আগামী সিটি নির্বাচনে নির্বাচিত হলে তারা স্থানীয়দের সমস্যাগুলো সমাধান করবেন।

বর্তমান কাউন্সিলরসহ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার আশাব্যক্ত করেছেন ১১ জন। এরমধ্যে আওয়ামীলীগেরই মনোনয়ন প্রত্যাশী ৮ জন। বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইছেন দু’জন। স্বতন্ত্র হয়ে লড়ার ঘোষণা দিয়েছেন একজন।
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন- বর্তমান কাউন্সিলর মো. সাইফুদ্দিন খালেদ সাইফ, চান্দগাঁও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য নাজমুল হক নজু, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ বি ইউনিটের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আলম খান, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ফারুক ইসলাম, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য কে এম. শহিদুল কাউসার, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য এস এম হুমায়ন কবির, চান্দগাঁও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাবেক সদস্য মো. জামাল উদ্দিন ও সাবেক ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক মো. নাছির উদ্দিন।
বিএনপির হয়ে নির্বাচনী লড়াইয়ে নামতে চান ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. ইলিয়াছ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল। স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে লড়তে যাচ্ছেন দু’বারের নির্বাচিত সাবেক কাউন্সিলর মাহবুবুল আলম।

সাবেক কাউন্সিলর মাহবুবুল আলম বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ২০০৫ সাল এবং ২০১০ সালে দু’বার নির্বাচিত হয়েছি । একইভাবে এবারও কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবো। তবে আমি বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত আছি।’ তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে জয়লাভ করলে এলাকার সকল সড়কের মেরামত করা এবং জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করবো। আমার সময়কালে জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধান করার জন্য আমি কর্তৃপক্ষকে বেশ কিছু আবেদন করেছিলাম কিন্তু তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। এবার নির্বাচিত হলে আমি ওয়ার্ড থেকে মাদক ও সন্ত্রাস দূর করব। এছাড়া এলাকার সার্বিক উন্নয়নে নিজেকে নিয়োজিত করবো।’
বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী মো. ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, ‘এবার প্রথম নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। দল নির্বাচনে গেলে আমি মনোনয়ন চাইবো। নির্বাচনে জয়লাভ করলে মাদকমুক্ত ও সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গড়ে তুলবো। চাঁদাবাজ ও ভূমিদস্যুদের প্রতিহত করবো। পাশাপাশি ওয়ার্ডের সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ করবো। এছাড়াও এলাকার সবাইকে নিয়ে কমিটি করে চান্দগাঁওকে পরিকল্পিত ওয়ার্ড হিসেবে গড়ে তোলার পাশাপাশি গরীব শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে পড়ার সুযোগ করে দিবো।’

চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ফারুক ইসলাম মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ থেকে। মনোনয়ন পেলে নির্বাচনী ইশতিহারে তিনি যেসব বিষয় রাখবেন বলে বলেছেন, সেগুলো হল- এলাকার অবহেলিতদের জন্য কাজ করা, জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধান ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করার কথা। তিনি বলেন, ’নির্বাচিত হলে প্রথমে আরাকান সড়কের দীর্ঘদিনের অসমাপ্ত কাজ শেষ করব। এছাড়াও এলাকার গরীব পরিবার থেকে অন্তত একজনের জন্য চাকরির ব্যবস্থা করব এবং এলাকার বড় বড় সকল সমস্যা এক বছরের মধ্যে সমাধানের চেষ্টা করব।’
আওয়ামীলীগের অপর মনোনয়ন প্রত্যাশী নাজমুল হক (নজু) বলেন, জলাবদ্ধতা ও ড্রেনেজ সমস্যার সমাধান ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করবো। এছাড়াও রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, মাদক ও চাঁদাবাজি নির্মূলেও আমি কাজ করবো।
কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য কে এম শহিদুল কাউসার। তিনিও মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ থেকে। তিনি বলেছেন, যদি মনোনয়ন পান এবং নির্বাচিত হন তাহলে এলাকার অবহেলিতদের জন্য শিক্ষা-চিকিৎসা ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নসহ মাদক নির্মূলের কাজকে অগ্রাধিকার দিব। তিনি বলেন, এই ওয়ার্ডে তেমন কোনো উন্নয়ন হয়নি। বিশেষ করে এলাকার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বেহাল দশা, পাশাপাশি রয়েছে জলাবদ্ধতা সমস্যা। জলাবদ্ধতার কারণে বেড়েছে মশার উপদ্রব। এছাড়া এলাকায় বখাটেদের আনাগোনা বেড়ে গেছে, যার কারণে সন্ত্রাসী কার্যক্রম বেড়ে গেছে। আমি নির্বাচিত হলে এ সকল সমস্যর সমাধান করার চেষ্টা করব।
মোস্তফা কামাল বলেন, ‘দল নির্বাচনে গেলে বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইবো। মনোনয়ন পেলে এবং নির্বাচনে জয়লাভ করলে এই ওয়ার্ডকে মাদক ও জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত করবো। কারণ, এই ওয়ার্ডের বেশকিছু জায়গায় মাদকের স্পট রয়েছে। বিশেষ করে ফরিদা পাড়ার মাজার গলিতে। এসব মাদক স্পট তুলতে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। এছাড়াও সৌন্দর্য বর্ধনের মাধ্যমে এই ওয়ার্ডকে ‘গ্রিন ওয়ার্ড’ হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করবো।’
আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী এস এম হুমায়ন কবির বলেন, দল থেকে মনোনয়ন পেলে প্রথমবারের মত অংশগ্রহণ করবো। তিনি জানিয়েছেন, সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত সমাজ গড়া, চাঁদাবাজি বন্ধ করা এবং জলাবদ্ধতা দূরীকরণে কাজ করার কথা। তিনি বলেন, আমি নির্বাচিত হলে এই ওয়ার্ডকে সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত করব। আর জলাবদ্ধতা আমাদের এলাকার সবচেয়ে বড় সমস্যা। তাই জলাবদ্ধতা দূর করতে প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ নিবো।
নাজমুল আলম খান বলেন, যদি দল থেকে মনোনয়ন পাই এবং নির্বাচিত হই তাহলে এলাকা থেকে মাদক, সন্ত্রাস এবং কিশোর গ্যাংসহ সকল ধরণের অপরাধ কার্যক্রম দূর করব। এর পাশাপাশি চান্দগাঁও ওয়ার্ডের জন্য প্রয়োজনীয় সকল উন্নয়ন কাজ করব।
ভোটারদের অভিযোগ-প্রত্যাশা

ভোটার হিসেবে নিজের প্রত্যাশার কথা জানিয়ে ওয়ার্ডের বাসিন্দা গ্লোবাল মেডিকেল ইনস্টিটিউটের ছাত্রী আয়েশা সিদ্দিকী বলেন, একটু বৃষ্টি হলেই কলেজের যাওয়ার রাস্তায় পানি ওঠে যায়। এছাড়া রাস্তার অবস্থা খারাপ হওয়ায় সবসময় জ্যাম লেগেই থাকে। তাকেই আমি ভোট দিবো যিনি এই কাজগুলো করবেন।
কাজেম আলী স্কুলের ছাত্র, ৪ নম্বর চান্দগাঁও ওয়ার্ডের বাসিন্দা সোহেল রানা বলেন, আমরা আমাদের এলাকার জলাবদ্ধতার সমাধান বিগত বছরগুলোতে পাইনি। এছাড়াও আমাদের এলাকায় আগে একটা খেলার মাঠ ছিল, যা এখন গ্যারেজ বানানো হয়েছে। এলাকার যুবকরা খেলাধুলা করার কোনো জায়গা পায় না। যার কারণে অধিকাংশ যুবক মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে। আমরা আশা করবো নতুন কাউন্সিলর যেই নির্বাচিত হোন তিনি এসব সমস্যার সমাধান করবেন।
চান্দগাঁও ‘এ’ ব্লক আবাসিক কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল মনসুর ভোটার হিসেবে পূর্বকোণের কাছে তুলে ধরেছেন তার ওয়ার্ডের সমস্যাগুলো। তিনি বলেন, আমাদের এলাকায় আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে। আমাদের এলাকায় আগে টহল পুলিশ টহল দিত কিন্তু এখন তাদের আর টহল দিতে দেখা যায় না। যার ফলে এলাকায় মাদকাসক্ত এবং কিশোর গ্যাং এর উৎপাত বেড়ে গেছে। জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধান নিয়ে আমি শংকিত। বর্ষায় আমাদের আবাসিক এলাকা পানিতে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছি। এই সকল সমস্যার সমাধান ভবিষ্যত কাউন্সিলরের কাছে চাই।
ওয়ার্ডের বাসিন্দা এনামুল হাসান চান জঙ্গি ও মাদকমুক্ত সমাজ, জলাবদ্ধতামুক্ত এলাকা, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন। তিনি বলেন, আমাদের এলাকার বেশিরভাগ রাস্তার বেহাল দশা। এছাড়া জলাবদ্ধতা সমস্যাতো আছেই। এর সংস্কারের দাবি করছি। নতুন কাউন্সিলর যেই হবেন তার কাছে এই সব সমস্যার সমাধান আমরা চাই।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট