চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

পটিয়া

চরম দুর্ভোগে তিন ইউপিবাসী

সড়ক খুঁড়ে ঠিকাদার উধাও

হারুনুর রশিদ ছিদ্দিকী, পটিয়া

১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ | ২:১৭ পূর্বাহ্ণ

পটিয়ার বড়লিয়া, আশিয়া ও জঙ্গলখাইন ইউনিয়নে গত ১ বছর আগে কয়েকটি সড়ক কার্পেটিং কাজের টেন্ডার দেয়া হলেও রাস্তার মাটি খুঁড়ে পালিয়েছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। এতে সীমাহীন দুর্ভোগ সইতে হচ্ছে স্থানীয় জনসাধারণকে। শীঘ্রই সড়কগুলোর সংস্কার কাজ শেষ করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
জানা যায়, মেসার্স এয়াকুব ব্রাদার্স ও আম্মা ট্রেডার্স নামের দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গত অর্থ বছরে ১২ কোটি টাকার এই কাজটি ফেলে লাপাত্তা। চলতি অর্থ বছরে পূর্বের টেন্ডার বাতিল করে পুনরায় টেন্ডার দেয়া হয়। এতে প্রায় ৬টি কাজ চালু করা হলেও বাকি ৬টি কাজ চালু করা হয়নি। এলজিইডি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে গ্রামীণ সড়ক সংস্কারের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অর্থায়নে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে প্রায় ৫০ কোটি টাকার দরপত্র আহ্বান করা হয়। এলজিইডির বিভিন্ন প্যাকেজের ৫০ কোটি টাকার কাজের মধ্যে রাউজানের ঠিকাদার মামুন দুই প্যাকেজে ১২ কোটি টাকার কাজ পান। তিনি বড়লিয়া ও জঙ্গলখাইন ইউনিয়নে গ্রামীণ দুটি সড়ক খুঁড়ে উধাও হয়ে গেছেন। এতে ওই দুই ইউনিয়নের মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। সড়ক দুটি হলো জঙ্গলখাইনের ঊনাইনপুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে কর্মযোগী কৃপাশরণ মহাস্থবির সড়ক ও বড়লিয়ার সাবেক চেয়ারম্যান ইলিয়াছ সড়ক। দুটি সড়কই খুবই জনগুরুত্বপূর্ণ। ওই পথে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বৌদ্ধবিহার, মসজিদ, শাহগদী (রহ.) মাজার ও কয়েকটি মন্দির ছাড়াও বাজার রয়েছে। বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সর্বোচ্চ ধর্মীয় গুরু ড. ধর্মসেন মহাস্থবির ওই এলাকার লঙ্কারাম বিহারের অধ্যক্ষ। এতে দেশি বিদেশি ভক্তরা ধর্মগুরুকে দেখতে প্রায়সময় আসেন। জঙ্গলখাইন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গাজী ইদ্রিস জানান, ঠিকাদার এখানকার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক দুটি খুঁড়ে ফেলে রাখায় মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। বিষয়টি উপজেলা প্রকৌশলীকে একাধিকবার জানানো হলেও কোনো প্রতিকার পাননি। পরে জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরীকে জানানো হলে তিনি ঠিকাদারের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীকে নির্দেশ দিয়েছেন। ইতিমধ্যে নাইখাইন সিরাজ মুন্সি সড়কের কাজ শুরু করা হলেও ঊনাইনপুরা সড়কের কাজ শুরু করা হয়নি। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী বিশ্বজিত দত্ত বলেন, ‘ঠিকাদারকে সড়ক খুঁড়ে ফেলে রাখার বিষয়ে কারণ দর্শানো নোটিশ দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে ঠিকাদার কাজ না করায় তার দরপত্র বাতিল করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে পুনরায় টেন্ডার দেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ৬টি সড়কের নতুন করে ঠিকাদার নিয়োগ করে সড়ক নির্মাণে কাজ চলছে। অন্য সড়কের কাজগুলোর টেন্ডার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সহসা ঠিকাদারদের কাজ করার জন্য কার্যাদেশ দেয়া হবে। আশা করি, চলতি বর্ষা শুরুর আগেই সড়কগুলোর কাজ শেষ করা হবে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট