উপজেলার চর বরমা এলাকায় প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও মিষ্টি আলু চাষ করা হয়েছে। মিষ্টি আলুর বাম্পার ফলনের প্রত্যাশায় সুদিনের স্বপ্ন দেখছেন কৃষকেরা।
উপজেলার চর-বরমা এলাকায় ঘুরে চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২ দফা বৃষ্টিতে সৃষ্ট বর্ষার পানি নেমে যাওয়ার পর পরই কার্তিক মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে শুরু হয়ে এখনও চলছে মিষ্টি আলুর চারা রোপণ। চারা রোপণের পর গত সপ্তাহে বৃষ্টির কারণে মিষ্টি আলুর ফলন ভালো হবে বলে আশা করছেন তারা। ফাল্গুন মাসের প্রথম দিকে মিষ্টি আলু মাটির নিচে পরিপক্ব হয়।
চৈত্র ও বৈশাখ মাসে এসব আগাম জাতের আলু তোলা শুরু হয়। তখন আবাদকৃত আলু তোলার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ে কৃষকেরা। চর বরমায় দেখা গেছে, বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে আবাদ করা হয়েছে মিষ্টি আলু। কেউ কেউ ক্ষেতে কোদাল দিয়ে মাটি আলগা করে বিট করছে, কেউবা আবার আগাছা পরিষ্কার করছে। এলাকার স্থানীয় কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আলুর ফলন ভালো হবে।
গত বছর প্রতি মণ মিষ্টি আলু পাইকারি ৮শ থেকে ১ হাজার টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। কৃষক নুরুল ইসলাম বলেন, ৪০ শতক জমিতে চারা বপন ও আলু তোলা পর্যন্ত মোট খরচ হবে প্রায় ১৫ হাজার টাকা। ১ লক্ষ থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা বিক্রি করা যাবে বলে আশা তার। একই এলাকার কৃষক মো. বাবুল বলেন, এ এলাকায় এই মৌসুমে অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি মিষ্টি আলুর আবাদ হয়। চলতি মৌসুমে তিনি ২৪০ শতক জমিতে আগাম মিষ্টি আলুর চাষ করেছেন।
এখন মাঝেমধ্যে নিজেই জমির পরিচর্যা করেন। এবার আগাম মিষ্টি আলুর ফলন ভালো হবে বলে আশা করছেন। এ আলু বিক্রি করতে কোনো কষ্ট হয় না। বিভিন্ন এলাকার পাইকাররা এসে জমি থেকে আলু তোলার পর নিয়ে যায়।
বরমা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম টিটু বলেছেন, বর্তমান সরকারের সময়ে কৃষিতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। প্রণোদনার পাশাপাশি কৃষকদের অনেক সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে সরকার। ধান, গম, ভুট্টা, সরিষা, সবজিসহ সকল ফসল উৎপাদনে চন্দনাইশ উপজেলার বরমা ইউনিয়নের কৃষকরা ব্যাপক ভূমিকা রাখছে।
চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৬৫ হেক্টর জমিতে মিষ্টি আলুর আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে বলে জানা যায়। এ ব্যাপারে কৃষি বিভাগ কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে।
পূর্বকোণ/সাফা/পারভেজ