চট্টগ্রাম বুধবার, ০১ মে, ২০২৪

সর্বশেষ:

কর্পোরেট কিংবা পরিবারের চাহিদায় মিতসুবিশি এক্সপ্যান্ডার

অনলাইন ডেস্ক

৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ | ৩:০২ অপরাহ্ণ

ব্যস্ত নগরীতে হাজারো জ্যাম-জট ফেলে পরিবার-পরিজন নিয়ে কোথাও ঘুরতে গেলে উপযুক্ত পছন্দ হিসেবে প্রথমেই আসে সাত-আসনবিশিষ্ট গাড়িগুলো। এই শ্রেণির গাড়িগুলো একইসাথে কর্পোরেট সেক্টরের মতো বিস্তৃর্ণ পরিসরে যেমন সুবিধা দিচ্ছে, তেমনি প্রাত্যহিক ব্যবহারের জন্যে পারিবারিক গাড়ি হিসেবে বেশ জনপ্রিয়। বাংলাদেশে বর্ধনশীল এই গাড়ির বাজারে জাপানের মিতসুবিশির এক্সপ্যান্ডার গাড়িতে মিলছে অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তি যা একে সাত-আসনবিশিষ্ট অন্য সব গাড়ি থেকে করে তুলেছে অনন্য।

 

১ দশমিক ৫ লিটারসমৃদ্ধ ১৬ ভাল্‌ভবিশিষ্ট ২০২৩ মডেলের মিতসুবিশি এক্সপ্যান্ডারে ৪ সিলিন্ডারবিশিষ্ট মিতসুবিশির অত্যাধুনিক মাইভেক ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে; যা ৬০০০ আরপিএমে ১০৫ হর্স পাওয়ার (এইচপি) উৎপাদন করতে সক্ষম। গাড়িটির অনন্য বৈশিষ্ট্য হলো এর ২২৫ মিলিমিটার গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স। এছাড়াও গাড়িটির রিএনফোর্সড সাসপেনশন ও ১৪১ এনএম টর্ক শহরের মসৃণ রাস্তার পাশাপাশি ভঙ্গুর ও উঁচু-নিচু রাস্তায় রাজত্ব করার মতো যথেষ্ট ক্ষমতা প্রদান করতে প্রস্তুত।

 

১ হাজার ২৭০ কেজি ওজনের গাড়িটির দৈর্ঘ্য, প্রস্থ এবং উচ্চতা যথাক্রমে ৪ হাজার ৫৯৫, ১ হাজার ৭৯০ এবং ১ হাজার ৭৫০ মিলিমিটার। গাড়িটির জ্বালানি ধারণক্ষমতা ৪৫ লিটার যেখানে শহরে ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার এবং মহাসড়কে ১৪ থেকে ১৬ কিলোমিটার মাইলেজ পাওয়া যায়। মিতসুবিশি এক্সপেন্ডারের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ১৭০ কিলোমিটার এবং শূন্য থেকে একশো কিলোমিটার উঠতে সময় লাগে ১৫ দশমিক ৪ সেকেন্ড।

 

স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচলের জন্যে ২০২৩ মডেলের মিতসুবিশির এক্সপ্যান্ডার-এ নিরাপত্তার জন্য রয়েছে অ্যান্টিলক ব্রেকিং সিস্টেম (এবিএস) ও ইলেকট্রনিক ব্রেকফোর্স ডিস্ট্রিবিউশন (ইবিডি)। সামনের সারির যাত্রীদের সুরক্ষায় রয়েছে ডুয়েল এয়ারব্যাগ। মিতসুবিশির এক্সপ্যান্ডার-এর স্মার্ট-কি গ্রাহককে চাবি ছাড়া যেকোনো দরজা দিয়ে প্রবেশের সুযোগ দিবে। এছাড়াও, চালকের জন্যে পুশস্টার্ট, ক্রুজ কন্ট্রোলসমৃদ্ধ ইলেকট্রনিক স্টিয়ারিং হুইল, সাত ইঞ্চি ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টেম, পাওয়ার উইন্ডোসহ নানা সুবিধা গাড়িটিকে সকলের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলেছে।

 

সাত আসনের এই গাড়িটিতে যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্যে বসার জন্যে রয়েছে প্রচুর জায়গা। দ্বিতীয় সারির আসনে একটি বাটন রয়েছে যা যাত্রীদের অনায়াসে সর্বশেষ সারিতে যাতায়াতে সাহায্য করে। একইসাথে পেছনের সারিতেও মিলবে মুঠোফোন চার্জ করার সুবিধা। ৭৮১ লিটার বুট স্পেসসহ গাড়িটির কেবিনের বাইরে রয়েছে অতিরিক্ত একটি চাকা (স্পেয়ার হুইল)। এছাড়াও, দুটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র (ডুয়েল এসি) থাকার ফলে পেছনের সারির যাত্রীরাও গরমে আরামদায়ক ভ্রমণের স্বাদ পাবেন।

 

এর সামনের অংশে ইংরেজি ‘টি’ আকৃতির এলইডি হেডল্যাম্প ও ডে লাইট রানিং লাইটের (ডিআরএল) সাথে সাথে ডাইনামিক শিল্ড ডিজাইন গাড়িটিকে দেয় অনন্য এক স্পোর্টি লুক। ডিপ ব্রোঞ্জ মেটালিক, গ্রাফাইট গ্রে মেটালিক, কোয়ার্টজ হোয়াইট পার্ল, রেড মেটালিক, ব্লেড সিলভার মেটালিক, জেড ব্ল্যাক মিকা এবং গ্রিন ব্রোঞ্জ মেটালিকসহ সাতটি ভিন্ন ভিন্ন রঙে গাড়িটি পাওয়া যাচ্ছে। অত্যাধুনিক জাপানিজ প্রযুক্তিসহ ৭ আসনের গাড়ির ক্যাটাগরিতে মিতসুবিশি এক্সপ্যান্ডার একটি উপযুক্ত চয়েস। সামনে ও পেছনে মিলিয়ে স্টাইলিশ লুকের পাশাপাশি গাড়িটির ব্যবহারিক দিক এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়ে চলেছে।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট