চট্টগ্রাম রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪

সর্বশেষ:

আল্লাহভীতি সৃষ্টিই রোজার মূল উদ্দেশ্য

৭ এপ্রিল, ২০২২ | ১২:২৪ অপরাহ্ণ

রায়হান আজাদ

রমজান মাস প্রশিক্ষণের মাস। আত্মশুদ্ধি ও আত্ম গঠনের মাস। এ মাসে মুমিন-মুসলমানরা নৈতিক ও ঈমানী চরিত্র অর্জন করার মধ্য দিয়ে বাকী এগারো মাসে তদানুযায়ী আমলপূর্বক উন্নত জীবন যাপন করে। রমজানে ঈমানদারগণ দিনের বেলায় সিয়াম ও রাতের বেলায় ক্বিয়ামে নিরলস ও বলিষ্ট চেতনার শিক্ষা পায়। ক্ষুধা-তৃষ্ণায় দরিদ্রের কষ্ট বুঝার সুযোগ লাভ করে। ইফতার ও তারাবীহ হতে মুসলিম ভ্রাতৃত্ব ও ঐক্যের চিত্র পরিস্ফুটিত হয়। রোজার পবিত্রতা ও মহিমায় ঝগড়া, ফ্যাসাদ, মারামারি ও দাঙ্গা-হাঙ্গামা রমজানে কমে যায়। মুমিন নিজেকে রোজাদার ভেবে এ সব কর্মকান্ড থেকে দূরে থাকে। এতদ্ সম্পর্কে রাসুলে পাক (সা.) বলেছেন, ‘রোজা একটি ঢালের ন্যায়। ঢাল যেমন দুশমনের আক্রমণ থেকে রক্ষা করে, তেমনি রোজাও শয়তানের ধোঁকা থেকে বাঁচার জন্য ঢাল স্বরূপ।

এ হাদীসে রোজাকে ঢালের সাথে তুলনা করা হয়েছে। যুদ্ধের ময়দানে সৈনিক যেমন ঢাল দিয়ে শত্রুর আঘাত সমানে প্রতিহত করে, অনুরূপ জীবন যুদ্ধে শয়তানের চতুর্মুখী বিভিন্ন আক্রমণ প্রতিহত করতে মুমিনের জন্য রোজার কোন বিকল্প নেই। মহানবী (সা.) আরো বলেন, ‘যে ঈমানের অনুভূতি এবং আখিরাতে সাওয়াবের আশায় সিয়াম পালন করবে, তার পূর্বের সব গোনাহ-ই মাফ করে দেয়া হবে’। (বুখারি মুসলিম শরীফ)।

যে আয়াতে ক্বারীমা দ্বারা রোজা ফরজ করা হয়েছে সে আয়াতে ক্বারীমায় রোজার উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলা হয়েছে ‘লা-আল্লাকুম তাত্তাকুন’- রোজা এজন্য ফরজ করা হয়েছে যে, ‘যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো’। তাকওয়া অর্থ-আত্মরক্ষা করা, বিরত থাকা। ইসলামের পরিভাষায়, শরীয়তের আদেশগুলো পালন করা এবং নিষেধ সমূহ থেকে বিরত থাকার নামই তাকওয়া। তাকওয়া অর্জনের উদ্দেশ্যে আমাদের সিয়াম সাধনা করা উচিত। রোজা সঠিকভাবে না হলে তার জন্য সাওয়াব তো দূরের কথা ফরজ তরকের গুনাহ রয়েছে। আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে রোজার মূল উদ্দেশ্য তাকওয়া ভিত্তিক জীবন যাপন করার তৌফিক দান করুন।

 

পূর্বকোণ/এস

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট