চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

পাকিস্তান ছাড়ছেন আমির !

স্পোর্টস ডেস্ক

২৯ জুলাই, ২০১৯ | ১:২৬ পূর্বাহ্ণ

হঠাৎ করেই টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিলেন পাকিস্তানের ওয়ান্ডার বয় মোহাম্মদ আমির। দীর্ঘ সংস্করণের ক্রিকেটকে তার গুডবাই বলে দেয়ার পর যখন আলোচনা-সমালোচনায় ফুটছে পাকিস্তান, তখনই একটি সূত্র থেকে জানা গেলো, শুধু তো টেস্ট ছাড়া নয়, মোহাম্মদ আমির এবার পাকিস্তানই ছাড়তে চলেছেন। তিনি নাকি বৃটিশ নাগরিকত্ব নিয়ে সেখানেই স্থায়ীভাবে বসবাসের পরিকল্পনা করছেন। ২০১০ লর্ডস টেস্ট কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে ৫ বছর নিষিদ্ধ ছিলেন আমির। এরপর জাতীয় দলে ফিরে আসার পর তার সময়টা কেটেছে নানা অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে। কখনও ছিলেন সেরা ফর্মে, আবার কখনও ছিলেন খুবই বাজে ফর্মে। যে কারণে, এবারের বিশ্বকাপে প্রথমে ঘোষিত দলেও রাখা হয়নি এ পেসারকে। শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ডের কন্ডিশন বিবেচনায় হঠাৎ করে দলে নিয়ে আসা হয় আমিরকে এবং বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখান এই পাকিস্তানি পেসার। মোট ১৭ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। বিশ্বকাপের পর যখন পাকিস্তান দলে নতুন কোচ কিংবা নতুনভাবে দল পূণর্গঠন হবে কি না তা নিয়ে আলোচনা চলছে, তখন হঠাৎ করেই টেস্ট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়ে দিলেন ২৭ বছর বয়সী আমির। এখন তার এই অবসরের ঘোষণাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত উনুনে খই ভাজছেন রমিজ রাজা থেকে শুরু শোয়েব আখতাররা। মোহাম্মদ আমির বিয়ে করেছেন এক বৃটিশ নাগরিককে। নার্গিস মালিককে তিনি জীবন সঙ্গী করে নেন ২০১৬ সালে। বৃটিশ নাগরিক বিয়ে করার কারণে স্পাউজ ভিসা পাওয়ার অধিকার রাখেন তিনি। যে ভিসার মেয়াদ সর্বোচ্চ ৩০ মাস (আড়াই বছর)। সে হিসেবেই শোনা যাচ্ছে, পাকাপাকিভাবে ইংল্যান্ডে বসবাস শুরু করবেন আমির। জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই আমির স্পাউস ভিসার জন্য আবেদন করেছেন। এর ফলে তিনি ব্রিটেনে যেখানে খুশি যেতে পারবেন এবং নাগরিকদের মতো সুযোগ সুবিধাও নিতে পারবেন। এমনকি ব্রিটেনে নাকি একটি বাড়ি কেনার বিষয়েও চিন্তাভাবনা করছেন পাকিস্তানি এই তারকা। মনে করা হচ্ছে, এই ভিসা পেতে আমিরের খুব বেশি অসুবিধা হবে না। কারণ তিনি প্রতিনিয়ত নিজের স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য ব্রিটেন যান এবং কাউন্টিতেও খেলেন। একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানাচ্ছে, ‘নিশ্চিতভাবেই সে ব্রিটিশ পাসপোর্ট পাওয়ার এবং সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাসেরও পরিকল্পনা নিয়েছেন। স্পাউজ ভিসা পেলে তিনি যে কোনো কাজ করতে পারবেন ব্রিটেনে এবং যে কোনো জায়গায়ও যেতে পারবেন।’ ২০১০-১১ সালে মানি লন্ডারিং মামলায় লন্ডনে কিছুদিন জেলও খেটেছিলেন আমির।
তা সত্ত্বেও তিনি ইংল্যান্ডে থাকতে পারবেন। কারণ, স্ত্রীর কারণে তিনি নিয়মিতই সেখানে আসা যাওয়া করেন। মাত্র ২৭ বছর বয়সে টেস্ট ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়া নিয়ে আমিরের সমলোচনা করেছেন ওয়াসিম আকরাম এবং শোয়েব আখতারের মত কিংবদন্তীরা। তার দায়বদ্ধতা নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন দুই সাবেক পেসার। শোয়েবের মতে, ‘এখনকার পেসাররা শুধুমাত্র ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি খেলতে চায়। এরপর হয়তো হাসান আলি, ওয়াহাব রিয়াজরাও টেস্ট থেকে অবসর নিয়ে নেবে।’

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট