পাহাড় নিয়ে আশার কথা শোনালেন মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান। পাহাড়ের কান্না থামিয়ে সেখানে রঙ ফিরিয়ে আনা সম্ভব। পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন খুব একটা লম্বা সময়ের ব্যাপার নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আজ শনিবার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে ডব্লিউভিএ মিলনায়তনে একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় মিজানুর রহমান আরও বলেন, পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের ক্ষেত্র এখনো আছে। ভূমি মালিকানা সমস্যার সমাধান করা হলে পার্বত্য জেলাগুলোতে সব সমস্যার সমাধান হবে। তিনি আরও বলেন, পাহাড়িদের মানবাধিকারের বিষয়টি শুধু পাহাড়ের সমস্যা নয়, এটি একটি জাতীয় সমস্যা।

বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম ‘বিবর্ণ পাহাড়; পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যা ও সমাধান’ শীর্ষক এই আলোচনার আয়োজন করে। বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের তথ্য ও প্রচার সম্পাদক দীপায়ন খীসা তার বক্তব্যে বলেন, পাহাড় আজ বিবর্ণ। পাহাড়ে তীব্র পানির সংকট। কারণ, সেখানে আর সবুজ নেই। সেখানকার মানুষের জীবনও ক্রমশ বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সাদেকা হালিম বলেন, পাহাড় তো বিবর্ণ ছিল না। এটাকে ক্রমাগত বিবর্ণ করা হয়েছে। পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে এত দৈন্য কেন?

কবি ও সাংবাদিক সোহরাব হাসান বলেন, পার্বত্য শান্তিচুক্তির মধ্য দিয়ে পাহাড়িরা শান্তি মেনে নিয়েছে। কিন্তু পাহাড়ে শান্তি ফিরে আসেনি। এর দায় বাংলাদেশ রাষ্ট্রের। গত ২২ বছরে পাহাড়ি এলাকাগুলোতে অনেক রক্ত ঝরেছে, উচ্ছেদ হয়েছে, বাড়ি-ঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

সভাপতির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং। পাহাড়ের অবস্থা মোটেও ভালো নয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, প্রতিনিয়ত মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে পাহাড়ে। পাহাড়িদের চোখ দিয়ে দেখে তাদের সমস্যা সমাধান করতে হবে। পাহাড়িদের হৃদয় দিয়ে, তাদের উপলব্ধি দিয়ে তাদের সমস্যাগুলো সমাধানের পথ দেখতে হবে।

আদিবাসী ফোরাম কর্তৃক আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে ‘বিবর্ণ পাহাড়’ বইটির আনুষ্ঠানিক মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এ বছর বইমেলায় মঙ্গল কুমার চাকমা রচিত এই বইটি প্রকাশ করেছে বটেশ্বর বর্ণনের প্রকাশক বিলু কবীর।