বঙ্গোপসাগরে বৃহস্পতিবার রাতে একটি কন্টেইনারবাহী জাহাজ ডুবে গেছে। পায়রা ফেয়ারওয়ে বয়ার কাছে উত্তাল ঢেউয়ের আঘাতে জাহাজটি ডুবে যায়। জাহাজটির নাম এমভি গলফ আরগো। ডুবে যাওয়া জাহাজের ১৪ জন নাবিকের সবাইকে উদ্ধার করেছে নৌবাহিনী। গতকাল রাতে কন্টেইনারবাহী জাহাজ এমভি আরগো ১৫২টি কন্টেইনার নিয়ে কলকাতা থেকে চট্টগ্রাম আসার পথে পায়রা ফেয়ারওয়ে বয়ার কাছে পৌঁছলে ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। এসময় বঙ্গোপসাগর উত্তাল থাকায় কন্টেইনারসহ জাহাজটি ডুবে যায়। নৌবাহিনীর সহকারী তথ্য অফিসার এস এম শামীম আলম জানান, জাহাজ ডুবির খবর পেয়ে গভীর সমুদ্রে টহলরত বাংলাদেশ নৌবাহিনী জাহাজ সাঙ্গু তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ চালায় এবং সকালে ১৪জন নাবিককে সমুদ্রে ভাসমান অবস্থা হতে জীবিত উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত নাবিকেরা হলো জাহাজের ক্যাপ্টেন নোয়াখালীর বাসিন্দা কাজী আব্দুল্লাহ আল মুহিত (৩৫), চট্টগ্রামের বাসিন্দা চীফ ইঞ্জিনিয়ার হাসান রেজা খালিদ (৩২), গোপালগঞ্জের চীফ অফিসার কাজী মাহবুব আলম (২৮), নারায়ণগঞ্জের সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার নূর আলম হিমেল (২৬), নোয়াখালীর থার্ড মাস্টার মোজাম্মেল হোসেন (২৪), ফেনীর বোসনমেট রফিক উল্লাহ (৫৯), চট্টগ্রামের এ্যাবল সীম্যান মো. জুবায়ের হোসেন (২৪), ফরিদপুরের অডিনারী সীম্যান সুজন মুখার্জি (২০), ভোলার অডিনারী সীম্যান মো. সাহাবুদ্দিনসহ (২১), লক্ষ্মীপুরের শাহাদাত হোসেন (৩৭), চট্টগ্রামের জমিরুল ইসলাম (৩০), রংপুরের শহিদ মিয়া (২৩), চট্টগ্রামের মো. রাজু (২৫) এবং চট্টগ্রামের আব্দুর রশিদ (৫০)। উদ্ধারকৃত নাবিকগণ সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। নাবিকরা বর্তমানে সমুদ্রে নৌবাহিনী জাহাজ সাঙ্গুতে অবস্থান করছে। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা ও খাবার প্রদান করা হয়েছে। উদ্ধার অভিযান শেষে জাহাজটি পায়রা বন্দরে ফিরলে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।